ডেস্ক রিপোর্ট: কর্মজীবী নারী হিসেবে আপনি কেমন পোশাক পরবেন তা নির্ভর করে মূলত স্থান ও ঋতুর ওপর।একজন কর্মজীবী নারীকে প্রতিদিন কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করতে হয়, করপোরেট মিটিং ও প্রফেশনাল ইন্টাভিউতে উপস্থিত থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে সবসময়ই এসব মাথায় রেখে পোশাক নির্বচন করার প্রয়োজন পড়ে। একজন কর্মজীবী নারীর পোশাক এমন হওয়া উচিৎ যা কিনা তার ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে, রুচিসম্মত ও অফিসের পরিবেশের সঙ্গে মানানসয়ী। বণিক বার্তা
কেমন হবে কর্মজীবী নারীর পোশাক জেনে নেয়া যাক-
বিজনেস ক্যাজুয়্যাল বনাম ফরমাল
বিজনেস ক্যাজুয়্যাল পোশাকের সঙ্গে বিজনেস ফরমাল পোশাকের পার্থক্য রয়েছে। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা জরুরি যে কোনটি আপনার কর্মস্থল ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিজনেস ক্যাজুয়্যাল কর্মস্থলে পরিধেয়র মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যময় শৈলী। সপ্তাহে একদিন এ ধরনের পোশাক পরা হয় করপোরেট হাউজগুলোয়। অন্যদিকে ফরমাল বেশভূষাই মূলত নিত্যদিনের জন্য, প্রেজেন্টেশন ও কায়েন্টের সঙ্গে মিটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
শার্ট, প্যান্ট ও স্যুটের ক্ষেত্রে যা মাথায় রাখতে হবে, তা হলো-
বিজনেস প্যান্ট
নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিজনেস প্যান্ট রয়েছে। যেমন- সোজা কাটের, বুট কাট ও সিগারেট স্টাইল প্যান্ট। বাহ্যিক কাঠামোর সঙ্গে মিলিয়ে নির্বাচন করুন কী ধরনের প্যান্ট পরবেন।লক্ষ্য রাখতে হবে যেন প্যান্টের দৈর্ঘ্য সঠিক থাকে। বেশি লম্বা হলে গোঁড়ালিতে ভাঁজ না করে কেটে সেলাই করে নিন। রঙের ক্ষেত্রে কালো, নেভি ব্লু ও ধূসর।
বিজনেস শার্ট
অফিসের সব ধরনের উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের কাপড়ে তৈরি কালো ও সাদা শার্ট বাছাই করা যেতে পারে। সচেতন থাকতে হবে কাটিং ও ডিজাইনের বিষয়ে। খেয়াল রাখতে হবে বিজনেস শার্ট যেন খুব বেশি আটসাঁট না হয় ও সঠিক দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হয়। সাধারণত লম্বা স্লিভের শার্ট কর্মস্থলের জন্য উপযোগী।
বিজনেস স্যুট
করপোরেট অফিসের পোশাক হিসেবে ফর্মাল স্কার্ট বা প্যান্টের বিজনেজ স্যুট ভীষণ যুতসই। স্যুট পছন্দ করার সময় নিরপেক্ষ রঙ ও প্লেইন ফেব্রিকের কথা মাথায় রাখুন। মেলবন্ধনে রাখুন বিজনেস শার্ট ও কোর্ট সু।
ককটেল বিজনেস অ্যাটেয়্যার
ইন্টারভিউতে যেমন হবে
চাকরির ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে পোশাক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে।পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি ও স্মার্ট লুক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে এমন পোশাক নির্বাচন করুন যা আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে। সেক্ষেত্রে সাদা শার্টের সঙ্গে স্লিম কাট নেভি স্যুট ও ফ্ল্যাট হিল মানানসয়ী।পাশাপাশি অনুষঙ্গের দিকেও নজর দিতে হবে। হালকা জুয়েলারি ও মাঝারি আকারের কালো ব্যাগ নির্বাচন করতে পারেন।
ঋতুর কথা মাথায় রেখে
পারফেক্ট বিজনেস আউটফিট বলতে আমরা যা বুঝি তা মূলত গ্রীষ্মকালের উপযোগী নয়। গরমের দিনগুলোয় হালকা কাপড়ের প্যান্ট, পোশাক ও ফর্মাল স্কার্ট আদর্শ। যদিও ডেস্কে সবসময় ব্লেজার পরা বাধ্যতামূলক নয় তবে অফিসে একটি ব্লেজার রাখতে পারেন মিটিংয়ের জন্য। জুতোর প্রসঙ্গে গরমের দিনে বেশিরভাগই খোলা জুতো পরার পক্ষপাতী হলেও অফিসের জন্য পা ঢাকা জুতোই বেশি উপযোগী। অন্যদিকে শীতে অফিসের পরিধেয় নির্বাচনে ব্যক্তিগত ওয়্যারড্রবে খানিকটা পরিবর্তন আনুন। কলারসহ শার্টের পরিবর্তে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে দিন টার্টলনেক সোয়েটার। এত করে উষ্ণতাও পাওয়া যাবে আর স্টাইলিশও দেখাবে। অন্যদিকে জুতোর ক্ষেত্রে পাম্প বুট বদলে পরুন হিলবুট।রুচির বহিঃপ্রকাশে গায়ে চাপাতে স্মার্ট কোট কিনতে খরচ করুন।
আরামের কথা ভাবা চাই
অফিসের জন্য পোশাক নির্বাচনের সময় মনে রাখতে হবে তা যেন অবশ্যই আরামদায়ক হয় যাতে করে সারাদিন ধরে কাজ করা, ওঠা ও বসায় সমস্যা না হয়। নারীদের ক্ষেত্রে আটসাঁট পোশাক ও স্কার্টের চেয়ে একটু ঢিলেঢালা ফিটিংসের প্যান্ট নির্বাচন করা ভালো। এসব ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে নারীরা সালোয়ার-কামিজ ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। পাশাপাশি রয়েছে শাড়ির আবেদনও। হালকা রঙের সুতি, তাঁত, কোটা, পাতলা কাজের সিল্ক বা জর্জেট শাড়ি সেক্ষেত্রে বেশি উপযোগী। এ ধরনের কাপড় কর্মপরিবেশের সঙ্গেও বেশ মানানসই।
আপনার মতামত লিখুন :