লিহান লিমা: [২] জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গত ১ জানুয়ারি সেনা অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত জনতার ওপর নিপীড়ন চালালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। বিবিসি, আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান
[৩]জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহানা হক নিউইয়র্কে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে এবং প্রতিবাদকারীদের ওপর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। বিশ্ব মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কার্যক্রম দেখছে। তাদের চরম পরিণতি ভুগতে হবে।’
[৪]সোমবার রাতে টানা দ্বিতীয় রাতের মতো ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলো মিয়ানমার। মঙ্গলবার সকালে ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় ফিরে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সাধারন অবস্থার থেকে নেটের সক্রিয়তা ১৫ শতাংশ নেমে এসেছে।
[৫]অভ্যুত্থানের দশম রাতে সেনাবাহিনীকে সশস্ত্র যান নিয়ে ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গিয়েছে। এদিন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রাতভর কারফিউ আরোপ করে জনগণকে বাহিরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধাচারণ না করতে সতর্ক করা হয়েছে।
[৬]দ্য অ্যাসিটেন্ট এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজোনার (এএপিপি) উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, সেনাবাহিনী নিজেদের অবিচার মূলক কার্যক্রম ও গণহারে ধর-পাকড় অব্যাহত রাখতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। সংস্থাটি জানায়, এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪২৬জনকে আটক করা হয়েছে এবং ৩৯১জন পুলিশ কাস্টডিতে রয়েছেন।
[৭]এএপিপি জানায়, নতুন আইনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধাচরণ করা ব্যানার, পোস্টার, চিহ্ন এমনকি গান ও স্লোগানেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড রাখা হয়েছে। নতুন সাইবার নিরাপত্তা বিলে সেনাবাহিনীকে যে কোনো কনটেন্ট মুছে ফেলা ও ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।