শাহাদাত হোসেন:[২]১৪ ফেব্রুয়ারী রবিবার মাহামান্য রাষ্টপতি আবদুল হামিদের আর্দেশক্রমে উপসচিব মুহাম্মদ সামসুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয় ।
[৩] প্রজ্ঞাপন চিঠির সূত্র মতে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া খানম মিনা উপজেলা পরিষদের পরিকল্পনা ও সেবা প্রদান সম্পর্কিত মৌলিক প্রশিক্ষনে অংশগ্রহনকারী জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তাগনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ, অশালীন ও কুরুচিপপূর্ণ মন্থব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ অসদাচরণ করেছেন এবং যেহেতু উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ (উপজেলা পরিষদ (সংশোধণ আইন,২০১১ দ্বারা সংশোধিত)এর ১৩(১)(গ) ধারা লংঘিত হয়েছে।
[৪]সেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে তার স্বীয় পদ হতে অপসারণ করার সিদ্বান্ত গ্রহন করেছে।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলোর সত্যতা মিলেছে বিভাগীয় কমিশনারের তদন্তে, সেটিও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।প্রজ্ঞাপনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য ঘোষনা করা হলো উল্লেখ করে অবিলম্বে তা কার্যকরের কথাও বলা হয়েছে।
[৫]এ প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি পেয়ে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। ঔদ্ধ্যত্যপূর্ণ অসাধাচরণ করায় এটি হয়েছে। অবিলম্বে তা কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া খানম মিনার কাছে এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
[৬]উল্লেখ্য, ফৌজিয়া খানম প্রথম দিকে পল্লী বিদ্যুতের চাকুরী এরপর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কমিশনার,পরবর্তী তিনবারের নির্বাচীত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। অভিযোগ রয়েছে ভোট শেষে বিগত সময়গুলোতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান থেকে জনসাধারন কোন ধরণের সেবা পাননি। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন