সালেহ্ বিপ্লব, আখিরুজ্জামান সোহান: [২] রীতিমতো ভয় পাওয়ার মতো অবস্থা! বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে বারোটায় গোটা মিয়ানমারে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এরপর রাস্তায় নামে সশস্ত্র বাহিনীর আর্মার্ড কার। বিবিসি
[৪] জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা টুইট বার্তায় অভিযোগ তুলে বলেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকার সাধারণ জনগনের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, দফায় দফায় চলছে গ্রেপ্তার।
[৫] ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান করে রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট ও অং সান সুচিসহ সরকারের বড়ো বড়ো সব নেতাকে আটক করা হলেও শুরুতে সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়নি সেনা সদস্যরা।
[৬] ক্ষমতা গ্রহণের পর ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম চেহারা দেখান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং। জানান, সুচি কারচুপি করে নভেম্বরের নির্বাচনে জিতেছিলেন। নতুন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করে, নির্বাচিত দলের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরবে, জানান মিন অং হ্লেইং।
[৭] সেইদিনই কিছু শহরে সান্ধ্য আইন জারি করে সামরিক সরকার। একটু একটু করে আন্দোলনরতদের ওপর কঠোর হতে শুরু করে। তার ধারবাহিকতায় সবচেয়ে বড় অভিযানটি শুরু হতে যাচ্ছে, এমনই ধারণা করা যাচ্ছে।
[৮] ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ‘ সেনাবাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে, যৌক্তিক আন্দোলনে সহিংসতা কাম্য নয়।’
[৯] এর আগে মঙ্গলবার আন্দোলনরত অবস্থায় সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৯ বছর বয়সি মিয়া থুই থুই খিয়াং নামে এক নারী মারাত্বকভাবে আহত হয় । বিক্ষোভকারীদের জলকামান, রাবার বুলেট এবং গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার সময় আহত হন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :