শানজিদ অর্ণব: এটি কোরিয়ান উপ্লীপের মানুষের ধর্ম, যার মধ্যে আছে স্থানীয় লোকজ ঐতিহ্য এবং বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন ধর্মের উপাদান। বৌদ্ধ ধর্ম, তাওবাদ, কনফুসিয়ানিজম, খ্রিস্ট বা শিন্টো ধর্ম বিরাট প্রভাব বিস্তার করলেও কোরিয়ান লোকজ ঐতিহ্য, বিশেষত শ্যামানিজম ( দৈবিক শক্তি পাওয়া এবং রোগ সারানোর ক্ষমতাসম্পন্ন ধর্মীয় পুরোহিতদের কেন্দ্র করে তৈরি ধর্মীয় চর্চা) এবং আদিবাসীদের ধর্ম অনেক নতুন ধর্মের উৎস হিসেবে কাজ করে। এসব নতুন ধর্মেল উদ্ভব হয়েছে ১৯ এবং ২০ শতকে।
কোরিয়ার প্রাচীন, প্রাচীন, স্থানীয় ধর্মীয় বিশ্বাস ছিলো প্রকৃতি পূজা, আত্মায় বিশ্বাস এবং পূর্বপুরুষদের পূজা। কোরিয়ার আদিম মানুষেরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির পূজা করতেন, যেমন-সূর্য, চাঁদ, বিভিন্ন নক্ষত্র, উঁচু পর্বত এবং প্রশস্ত নদী। কোরিয়ানরা ভালো আত্মাকে শ্রদ্ধা জানাতো আর দূরাত্মাকে শান্ত রাখতো। শ্যামান বা জাদুকরকে দিয়ে চর্চারও বেশ প্রচলন ছিলো। নারীরাও জাদুকরীর ভ‚মিকা পালন করতেন এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সম্মোহিত হতেন।
ভালো আত্মা ও মন্দ আত্মার সমাহার থাকা সত্ত্বেও প্রাচীন কোরিয়ানরা এক পরম অদ্বিতীয় অস্তিত্বের ধারণা লালন করতো। এই পরম অদ্বিতীয়ের নাম হচ্ছে ‘হানামিম’। স্বর্গ এবং প্রভু শব্দ থেকে হানানিম নামের উদ্ভব। প্রাচীন কোরিয়ানদের কাছে এই হানানিম হলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এবং দুনিয়ার সকল আত্মার অদ্বিতীয় শাসক। হানানিমের পূজা করতে পারতেন না। এ পূজার অধিকার ছিলো একমাত্র রাজার। ‘ধর্মকোষ- পৃথিবীর ধর্মসমূহের ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থ থেকে
আপনার মতামত লিখুন :