কামরুল হাসান মামুন : একটি পোস্টার দেখলাম যেখানে বুয়েটের ভিসির সভাপতিত্বে ৩৮তম বিসিএসে নিয়োগ প্রাপ্ত বুয়েটিয়ানদের একটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের মঞ্চে আরও ছিলেন বুয়েটের প্রো-ভিসিসহ ১০ জন সরকারি কর্মকর্তা। তবে এটি আদৌ সত্যি কিনা এই নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারণ এইরকম কোনো অনুষ্ঠান বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানের ভিসি আয়োজন করবেন কিংবা অন্য কেউ আয়োজন করলে সভাপতিত্ব করবেন এটি কল্পনাও করা যায় না। বুয়েটের ভিসি সংবর্ধনা দিবেন টেকনোলজিতে যদি তার ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ অবদান রাখে। বুয়েটের ভিসি সংবর্ধনা দেবেন যদি তার ছাত্রছাত্রীরা গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখে। বুয়েটে ভর্তি হয় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য। তাদের পেছনে সরকার মানুষের ট্যাক্সের টাকা থেকে বিপুল অংক খরচ করে ইঞ্জিনিয়ার বানানোর জন্য। একটি দেশের উন্নতির জন্য মানসম্পন্ন ইঞ্জিনিয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই ইঞ্জিনিয়াররা যদি দলে দলে সাধারণ প্রশাসন ক্যাডারে যায় সেটা খুবই উদ্বেগজনক।
ব্যতিক্রম সব কিছুতেই থাকবে। কিছু ইঞ্জিনিয়ার যাবে এবং যাওয়াটা দোষের কিছু না। কিন্তু সেই সংখ্যাটা যদি খুব বড় এবং বড় এই সংখ্যায় যাচ্ছে দেখে সেই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তি যদি গর্ববোধ করেন সেটা এলার্মিং। দলে দলে যাওয়া মানে হলো বুয়েট তার সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না । এটা বরং ভিসির জন্য লজ্জাকর। আর উল্টা কি দেখছি? তিনি তাদের সংবর্ধনা দিচ্ছেন। একই কথা প্রযোজ্য ডাক্তারদের ক্ষেত্রে। থাঙ্কস গড যে মেডিকেল কলেজের প্রাধাক্ষ্য এখনো এইরকম সংবর্ধনার আয়োজন করেননি। তবে বুয়েটের ভিসির উদাহরণ সৃষ্টির পর আগামীতে সম্ভবত এটাও আমরা দেখবো। বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরাও যায়।
সেইজন্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরাও একই কাজ করবেন। এই বিসিএসকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে যে জন্ম হওয়ার পর থেকেই বাবা মা শিক্ষক শিক্ষিকা সবাই চাইবে দেশের সকল ছেলেমেয়েরা বিসিএস ক্যাডার হউক। দেশ উন্নতি করে দেশে যতো বেশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও গবেষক হবে। ঈসরালের এতো কম জনসংখ্যা নিয়েও পৃথিবীতে এতো ক্ষমতাধর কিভাবে? কারণ তাদের দেশে প্রতি মিলিয়ন জনসংখ্যার ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ গবেষক। ভারতের সেই জায়গায় ২৫৮। বাংলাদেশের কত? একই কথা বলা চলে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও অন্যান্য টেকনিক্যাল ডিগ্রীর ক্ষেত্রে। প্রতি মিলিয়নে কতোজন ইঞ্জিনিয়ার, কতজন ডাক্তার ইত্যাদিও উন্নতির ইনডেক্স। ফেসবুক থেকে শাহিন
আপনার মতামত লিখুন :