আবুল হাসনাত, মোঃ রাফি: [২] দেশব্যাপী চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নির্বাচনে ইভিএমে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাকজিল খলিফাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
[৩] তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট নেওয়া হচ্ছে গোপন কক্ষে। এই ঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছে বিএনপি মেয়র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দু ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নুরুল হক ভূইয়া। এদিকে শফিকুল ইসলাম ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
[৪] আখাউড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বুথে চলছে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট গ্রহণ। ভোটাররা আঙ্গুলের ছাপে নিজেদের পরিচয় সনাক্তের পর গোপন কক্ষে ভোট প্রদানের আগে প্রকাশ্যে ইভিএমে নৌকা প্রতীকে ভোট নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এজেন্টরা। তারপর গোপন কক্ষে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট দিতে হচ্ছে।
[৫] বিএনপি মেয়র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দু বলেন, 'আমার কোনো এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সব ভোট নিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনকে বলার পরও আমাদের কথা শুনছেনা'।
[৬] এই বিষয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নুরুল হক ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, 'ভোটের পরিবেশ খুবই খারাপ। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আশা নেই। আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাকজিল খলিফার ভাই দানিছ খলিফা। আমার সব এজেন্ট ভয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছে'।
[৭] উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জহুরুল আলম বলেন, প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার এমন কোন অভিযোগ নেই। আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে।
[৮] নানা অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগে আখাউড়া পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম খান নির্বাচন বর্জন করেছেন।রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :