আরিফ উদ্দিন:[২] গাইবান্ধার পৌরশহরের আন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা মা-বাবাসহ দেখ-ভাল করার মত পারিবারিক কোন সর্জ্জন না থাকায় জন্ম প্রতিবন্ধী এতিম মেরিনা খাতুন (২৮) শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে বাঁশের টঙের নিচে জীবন যাপন করছে।
[৩] প্রতিবন্ধী মেরিনা হাঁটতে-চলতে পারে না। পারেনা স্পষ্ট কথা বলতে। শরীরকে কাজে লাগিয়ে কোন রকমে মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে সামনে এগুতে পারে। হাত-পা সড়ু প্রকৃতির। একদিকে বসে থাকতেও নিদারুন অমানবিক কষ্ট। আবার চলতে গিয়েও বড়ই কষ্ট। মুহুর্ত মুহুর্তেই শুধু কষ্ট আর কষ্ট।
[৪] প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তার ভীষন কষ্ট। এসময় পড়নের কাপড়েই প্রকৃতির কাজ সাড়তে হয়। তার দুঃখে ব্যতিত হয়ে উৎসুক মানুষজন এক নজর দেখতে গেলে মেরিনা তাদের দিকে শুধু ফ্যাল-ফ্যাল করে তাঁকিয়ে থাকে। অপরের সাহায্য ছাড়া তাঁর জীবন যাত্রা যেন দুঃসহ হয়ে উঠেছে। মেরিনার সবচেয়ে বড় সমস্যা একটি আবাসনের। মাথা গোঁজার নূন্যতম ঠাঁই না থাকায় শীতববস্ত্র বিহীন যবুথবু তীব্র শীতে কোন রকমে এভাবেই সে বছরের পর বছর বুকভরা কষ্টের আবর্তে আষ্টে-পৃষ্টে অমানবিক জীবন যাপন করছেন।
[৫] সরেজিমন গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এতিম মেরিনা খাতুন ওই গ্রামের মৃত সাইদুল ইসলামের মেয়ে। জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে সে একেবারে পঙ্গু। মেরিনা জন্মের পরপরই তার মা গুরুতর শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মেরিনার মা ছালেমার অসুস্থ জনিত কারণে বাবা সাইদুল দ্বিতীয় বিয়ে করে বসেন। তখন থেকে মেরিনার মা স্বামীগৃহ ছেড়ে বাবার বাড়ীতে বসবাস করতে থাকেন। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :