আমিরুল ইসলাম : [২]অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহবুব উল্লাহ বললেন, জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত জাতিকে বিভক্ত করবে, এতে ট্র্যাজিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে
[৩] তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জোরে নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে তারা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় খেতাবের কোনও সম্পর্ক নেই।
[৪] জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ড কোনটা সংবিধানের পরিপন্থী, কোনটা পক্ষে সেটা রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় এভাবে রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তিসঙ্গত না।
[৫] গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী বলেন, যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে খেতাব বাতিলের সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তো একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর শেষ। তারপরে যা ঘটেছে তা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নয়। খেতাব বাতিলের সঙ্গে ইতিহাসের কোনো সম্পর্ক নেই
[৬] পদকপ্রাপ্তি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণ বা বীরত্বের যাচাই হয় না। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে রাজনীতি দেখতে পাচ্ছি, এরসঙ্গে ইতিহাস চর্চার কিছু নেই। পদকগুলো স্বাধীনতার পরে দেওয়া হয়েছে। এগুলো সবই হয়েছে বিভিন্ন সময়ে যারা ক্ষমতাবান তাদেরই সিদ্বান্তে।
[৭] বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাস চর্চা করতে চায় না, রাজনৈতিক চর্চা করতে চায়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের চেয়ে ভালো রাজনীতি করার অস্ত্র কম। তাই তারা এটা নিয়েই রাজনীতি করছে। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :