আব্দুল্লাহ আল আমীন: [২] ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব মুন্সিখানা থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছেন পর্যবেক্ষক মহল।
[৩] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব মুন্সিখানাসহ বিভিন্ন শাখার কর্মচারীদের পরিশ্রম দক্ষতার ফলেই এই স্বার্থকতা পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজস্ব মুন্সিখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে রিট মামলার ডাটাবেজ প্রস্তুতসহ চলমান পেন্ডিং তথ্য বিবরণীর তালিকা প্রস্তুত করা।
[৪] সূত্র আরো জানায়, হালুয়াঘাট উপজেলার ভুবনকূড়া, গাজীরভিটা ইউনিয়নে খাস জমির পরিমাণ ২৯০.২৬ একর এবং ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাও ইউনিয়নে ১০৫.২৯ একর জমি উদ্বার করে পাহাড় টিলা জরীপ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। গাবরাখালি পাহাড়কে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে কাজও শুরু হয়েছে।
[৫] জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান যোগদানের পরপরই স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ, কাজের গতি বৃদ্ধিতে স্টাফদের মাস সেরা পুরস্কারের ঘোষণা করেন।
[৬] এদিকে গত ২০১৯ এর জুলাই মাসে মোট পেন্ডিং অডিট আপত্তি ছিল ৮৬ টি যা ২০২০ এর নভেম্বর মাসে নেমে এসেছে ৭ টিতে। এছাড়া এসিল্যান্ডদের নিয়ে নিয়মিত হচ্ছে সাপ্তাহিক সভা। নিয়মিত চলমান রয়েছে রাজস্ব শাখার সাপ্তাহিক প্রশিক্ষণ।
[৭] বৃদ্ধি পেয়েছে অনলাইন ইনামজারি আবেদন নিস্পত্তির হার। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে অর্পিত ‘ক’ তালিকার লীজকৃত সম্পত্তির তফসিলকৃত ছবিসহ ডাটাবেজ। এছাড়া চলমান রয়েছে খাসজমির ডাটাবেজ তৈরির কার্যক্রম।
[৮] বদলে যাওয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অন্যান্য শাখা যেমন এলএ শাখা, অর্পিত সম্পত্তি শাখাসমূহে দাপ্তরিক কাজগুলো তরান্বিত করার লক্ষ্যে গত নভেম্বর ২০২০ মাসে ৫২টি চেক বিতরণ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের ডাটাবেজ এক নজরে পরিদর্শনের জন্য বোর্ড নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে গ্রহীতারা উপকৃত হচ্ছেন।
[৯] জানা গেছে, ২০১৯ সন থেকে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার প্রশিক্ষণ সিডিউল প্রস্তুত, সকল রিট মামলার তালিকা প্রস্তুত, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আইনজীবী ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ১ বছরে সরকারের বিপক্ষে রায় হওয়া মামলাগুলোর একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। রাজস্ব শাখার সাথে উপজেলা ভূমি অফিসের পেন্ডিং এসএফ এর তালিকা সমন্বয় করা হয়েছে।
[১০] জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বর্তমানে তড়িৎগতিতে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের সন্তুষ্টি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে, সেই সাথে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কাজের প্রস্তুতি থেকে কাজ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সময়ও কম লাগছে, সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজস্ব আয়।
আপনার মতামত লিখুন :