শিরোনাম
◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৩৩ দুপুর
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাকন রেজা : কর্তৃত্ববাদী শাসন ও আমেরিকার নতুন নেতুত্ব

কাকন রেজা : আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘অ্যামেরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে নুতন যুগের সূচনা হয়েছে।’নতুন যুগের বিষয়ে পরের কথাতেই জানিয়েছেন, ‘দেশে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের বিরুদ্ধে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ।’কথাগুলো তিনি যেনতেন জায়গায় বা ভাবে বলেননি। বলেছেন নিজেদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে। বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট যখন একটি কথা বলেন তখন তাকে গুরুত্বের সাথে নিতে হয়। কারণ সেই কথার মধ্যে অনেক কিছুরই আভাস থাকে। তেমনি জো বাইডেনের কথার মধ্যে তেমন আভাস রয়েছে। ট্রাম্প যখন ছিলেন, তখন দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের রমরমা অবস্থা ছিলো। আজ পর্যন্তও তা বিরাজমান। তবে বাইডেনের ক্ষমতাগ্রহণের পর সেই কর্তৃত্ববাদীরা নয়া হিসাব কষছেন।

দক্ষিণ এশিয়াতেও অ্যামেরিকার নয়া ক্ষমতা তাদের নীতি না হলেও চিন্তার পরিবর্তন করবে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যার প্রতিফলনও দেখা গেছে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির চালচিত্রে। জো বাইডেন প্রশাসন সম্ভবত নিজেরাই সরাসরি সব দেখভালের চিন্তা করছেন। ‘যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের গুরুত্ব দেয়া সহ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও মর্যাদাকে প্রাধান্য দেবে’- জো বাইডেনের এমন কথা সে আভাসেরই স্বরূপ। এতদিন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ভায়া হয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় মোড়লগিরি করেছে। যার ফলে কোন কোন দেশের শাসকরা পক্ষে থাকলেও জনগণ ছিলো অ্যামেরিকার বিপক্ষে। ফলে মানুষের ঘৃণা কুড়াতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। জো বাইডেন এ বিষয়ট উপলব্ধি করেছেন বলেই মনে হয়। অন্তত দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে কিছুটা নড়চড় তাই বলে।

বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়ার মতন ক্ষমতাধর দেশের নীতির পরিবর্তনে ভালোর সাথে কিছুটা মন্দ দিকও রয়েছে। এরমধ্যে মিয়ানমারের সামরিক শাসন। এতদিন সুচিকে হ্যান্ডেলের বিষয় ভারত দেখতো। যার ফলে চীন অনেকটাই নির্ভার ছিলো। ভারতকে হ্যান্ডেল করা চীনের জন্য কঠিন কিছু নয়। কিন্তু জো বাইডেন আসার পর চীন সম্ভবত উপলব্ধি করতে পেরেছে, এখন অ্যামেরিকা নিজেই সব হ্যান্ডেল করবে। আর সূচি যদি ভারতের হাওলা থেকে অ্যামেরিকার হাতে পড়ে, তবে তাকে সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে। হয়তো মিয়ানমারের সামরিক শাসন সেই চিন্তারই ফল।

দক্ষিণ এশিয়ার কর্তৃত্ববাদী শাসকদের মেসেজ দেয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কাজটা যে ভালোই বোঝে বাইডেন প্রশাসন তা আক্কেলমান্দ’রা বুঝতে শুরু করেছেন। বেআক্কেলদের কথা অবশ্য আলাদা। তাদের চিন্তার দৌড় নির্দিষ্ট একটা গণ্ডি পর্যন্ত। আর তার প্রমাণ দিতে নিজেদের অজ্ঞাতেই তারা নানা ক্যারিকেচার করেন। যে ক্যারিকেচার ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে গণ থেকে সামাজিকমাধ্যমের মনিটরে।  ফুটনোট : আক্কেলমান্দকা লিয়ে ইশারাই কাফি।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়