রাশিদুল ইসলাম : [২] কোন দেশে মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনা থাকবে নাকি প্রত্যাহার করে নেয়া হবে, কোনো মার্কিন ঘাঁটিতে সেনা সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি করা হবে তা পর্যালোচনা করছে পেন্টাগন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামলেই ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর নতুন বাইডেন প্রশাসন চাচ্ছে যুদ্ধ আর না করতে। স্পুটনিক
[৩] এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত বৃহস্পতিবার পেন্টাগনকে বিভিন্ন দেশে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
[৪] এক বিবৃতিতে লয়েড অস্টিন বলেন মার্কিন সেনা সংখ্যা, তাদের অবস্থান ও কৌশল এবং এসব মিশনের বৈশি^ক শক্তি সামর্থ বিবেচনা করে দেখা হবে। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলা হবে।
[৫] বাইডেন প্রশাসন মনে করছে ইরাক বা আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা পাঠানো রাজনৈতিকভাবে বিপজ্জনক। খুবই হাতে গোনা মার্কিন সেনা এদুটি দেশে রাখা হবে সন্ত্রাস দমন বা দেশদুটির সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যে।
[৬] অস্টিন আরো বলেন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা ক্রমশ চীন ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। এমনকি জার্মানি থেকে উল্লেখযোগ্য হারে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চিন্তাও করা হচ্ছে।
[৭] ন্যাটোর বিধি অনুযায়ী বার্লিন তার প্রতিরক্ষা বাজেটের দুই শতাংশ খরচ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে জার্মানির দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জার্মানিকে তার প্রতিরক্ষা বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির চাপও দেন। এ প্রেক্ষিতে জার্মানি বলে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নিলে তা ন্যাটোর স্বার্থ বিঘ্ন করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :