শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:৪৬ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:৪৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] এলএনজি পরিবহনের লক্ষ্যে ছয়টি ট্যাংকার ক্রয় করবে বিএসসি

আনিস তপন: [২] বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এলএনজি জাহাজ ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

[৩] বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) লিক্যুয়িড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) পরিবহনের লক্ষ্যে বড় আকারের ছয়টি এলএনজি ট্যাংকার/ক্যারিয়ার ক্রয় করবে।

[৪] অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২৫), রূপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ্য ২০৩০ এবং ব্লু-ইকোনমি (সুনিল অর্থনীতি) ধারণার আলোকে বিএসসি ছয়টি জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।

[৫] ছয়টি ট্যাংকারের ধারণ ক্ষমতা প্রায় প্রতিটি ১,৪০,০০০ ঘন মিটার করে দু’টি, প্রায় প্রতিটি ১,৭৪,০০০ ঘন মিটার করে দু’টি এবং প্রায় প্রতিটি ১,৮০,০০০ ঘন মিটার করে দু’টি। ছয়টি ট্যাংকার ক্রয়ে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০,৬০২ কোটি টাকা। ১,৪০,০০০ ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতার দু’টির মূল্য ৩,৫৪২ কোটি, ১,৭৪,০০০ ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতার দু’টির মূল্য ৩,৫৩০ কোটি এবং ১,৮০,০০০ ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতার দু’টির মূল্য ৩,৫৩০ কোটি টাকা।

[৬] বৈঠকে মহেষখালী দ্বীপের নিকট দেশের দু’টি এলএনজি টার্মিনাল এবং এক/একাধিক স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের প্রেক্ষিতে এলএনজি ট্যাংকার ক্রয়ের প্রকল্প নেয়া হয়।

[৭] এসব জাহাজ দিয়ে বছরে প্রায় ১৯ মিলিয়ন ঘন মিটার (৬.৭১ মিলিয়ন টন) এলএনজি পরিবহন করা সম্ভব হবে। এলএনজি পরিবহন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বিএসসি তথা রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরশিলতা হ্রাস পাবে। জ্বালানি নিরাপত্তা অনেকাংশে নিশ্চিত হবে। মেরিটাইম সেক্টরে দক্ষ লোকবল সৃষ্টিসহ চাকুরির সুযোগ তৈরির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

[৮] উল্লেখ্য, সরকার বিএসসিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে চীনের আর্থিক সহায়তায় ১,৫৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চীন থেকে ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে। সংগৃহিত জাহাজগুলো হলোঃ এম.ভি বাংলার জয়যাত্রা, এম.ভি বাংলার সমৃদ্ধি, এম.ভি বাংলার অর্জন, এম.টি বাংলার অগ্রযাত্রা, এম.টি বাংলার অগ্রদূত এবং ‘এম টি বাংলার অগ্রগতি’।

[৯] আরো উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বিএসসি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭২ সালে ‘বাংলার দূত’ ও ১৯৭৩ সালে ‘বাংলার সম্পদ’ অর্জনের মাধ্যমে বিএসসি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সর্বমোট ৩৮টি জাহাজ সংগ্রহ করেছিল। বয়সজনিত কারণে এবং বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক বিবেচিত হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৬টি জাহাজ বিক্রয়/ হস্তান্তরের পর দু’টি জাহাজ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে ছয়টি নতুন জাহাজ সংগ্রহের ফলে বর্তমানে বিএসসির বহরে আটটি জাহাজ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়