শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:১৩ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:১৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিঝুম মজুমদার : আমরা শেখ হাসিনার সেই ভাই যে ভাই তার সমালোচনা করি প্রকাশ্যে, তার দলের সমস্ত দুর্নীতিবাজকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিই, কিন্তু বোনকে ছেড়ে যাই না

নিঝুম মজুমদার : তাসনিম খলিলের সঙ্গে আমার একটা ওয়ার্ম সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে তাকে আজ কয়েকটা কথা না জানিয়ে দিলেই নয়। তাসনিম ভাই, আপনি, ডেভিড বার্গম্যান এবং আপনাদের গ্যাংরা মিলে যে ভিডিও বানিয়েছেন এবং যেগুলো বানানো অবস্থায় রয়েছেন, এগুলো আসলে এই জীবনে কোনোদিন সফলতার মুখ দেখবে না। কেন দেখবে না জানেন? কারণ শেখ হাসিনার কোটি কোটি ভাইয়েরা, শেখ হাসিনার মিলিয়ন মিলিয়ন লোকেরা সিম্পলি একটা ডাকের অপেক্ষায় চুপচাপ বসে বসে আপনাদের এই তামাশা দেখছে। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা স্যার অনেক চেষ্টা করেছিলেন আমার হাত দিয়ে তার বইটি লেখাবার।

মানে দাঁড়ায় নিউ জার্সিতে তিনি একটা বাসা পর্যন্ত নিয়েছিলেন যেখানে আমি যাবো এবং তিনি আমার ফ্লাইটের টিকেট-সহ যাবতীয় সবকিছু পাঠাবেন এমন ব্যবস্থাও করেছিলেন। আমাকে স্যার প্রথমে বলেছিলেন, তিনি তার জীবন কাহিনি লিখবেন। মানে অটোব্যায়োগ্রাফি। আমি ঠিক সে কারণে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছিলাম এবং মনে করেছিলাম এটা একটা গর্বের কাজ। মাননীয় প্রধান বিচারপতির অটোবায়োগ্রাফি লিখবো, ভাবতেই আমি আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিলাম। আমার কাজ করবার কথা ছিলো এমন যে, স্যার বলবেন আর আমি লিখবো এমন।

যখনই স্যার আমাকে একদিন হোয়াটসঅ্যাপ কলে নিজেকে সংবরণ না করতে পেরে বলে বসলেন, ‘আমি এই হাসিনাকে দেখে ছাড়বো’, আমি সেদিন অনেকটা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। বোকার মতো স্যারকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘স্যার আপনি তো আমাকে বলেছিলেন আপনার অটোবায়োগ্রাফি লিখবেন। কই! বলেননি তো, আপনি প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে লিখবেন। স্যার আপনাকে কে ফান্ডিং করছে?’ স্যার আমার উপর সেদিন তীব্র ক্ষেপে গিয়েছিলেন। স্যার বুঝতেই পারেননি, সরকারকে হাজার সমালোচনা করি আমি ঠিক, আমি তীব্র ভাষায় সরকারকে বলি ঠিক, কিন্তু আমি শেখ হাসিনার ভাই। স্যার জানতেন না সময় এলে আমি শেখ হাসিনার জন্য নির্দ্বিধায় বুক পেতে দেয়া একজন।

স্যার জানতেন না, আমরা বংশ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান। কিন্তু আমি যেই কাজটি প্রথমে করেছি সেটি হচ্ছে ডিজিএফআইকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি এবং একই সঙ্গে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে আমি ইনফর্ম করেছিলাম যে এমন একটি বই বাজারে আসছে, যাতে সরকার সাবধান হয়। আমাকেই কেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা স্যার বেছে নিয়েছিলেন জানেন? কারণ সুরেন্দ্র কুমার সিনহার স্যারের যে ষোড়শ সংশোধনীর রায় যেটি তিনি লিখেছিলেন আমি সেটার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। স্যারের প্রতি বিরূপ আচরণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম আর ঠিক সেই মুহূর্তে সরকারবিরোধীরা মনে করেছিলো আমি তাদের সাথের লোক। আমিও খেলেছি, খেলিয়েছি। আমিও তথ্য নিয়েছি, তথ্য জায়গা মতো দিয়েছি।

তৎকালীন ডিজি এফআই এর, Internal Affairs Bureau  প্রধান (আই এ বি চিফ) ব্রিগেডিয়ার হামিদুল হক ভাইকেও আমি সবিস্তারে জানিয়েছি এইসব কাহিনি। সময় মতো আমি শেখ হাসিনার ভাইয়ের মতো তাকে ঘিরে ধরে রেখেছি যাতে একটি আঁচড় তার গায়ে না লাগে। আমার এই চল্লিশোর্ধ বয়সে এমন কোনো মানুষের জন্ম হয়নি যিনি বলতে পারবেন আমি আওয়ামী লীগ সরকারকে ভাঙিয়ে একটা পয়সা আয় করেছি। একটা দানা আমি মুখে দিয়েছি আওয়ামী লীগ ভাঙিয়ে।

আমাদের একটা জমির মামলা চলে আজকে ১৮ বছর। বিএনপির সাবেক এমপি জিয়াউল হক জিয়া দখল করেছিলো আমাদের এই জমি। আজও আইনিভাবে আমরা সে মামলা লড়ে যাই। আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো বড় বড় নেতাদের কাছে ধর্ণা দেয়ার, আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো তাদের সাহায্য নেবার। কিন্তু তাসনিম ভাই, না। আমি তা করিনি।

আজও আমি আর বাবা মিলে এই লড়াই করছি জমি নিয়ে কিন্তু নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে কোনোদিন লবিং করিনি, দালালি করিনি কিংবা দল থেকে সাহায্য নিইনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো না কোনো পদে আমি হয়তো লবিং করে থাকতে পারতাম। আমি হতে পারতাম একজন তরুণ রাজনীতিবিদ। আমি আমার সমস্ত সুযোগের পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারতাম। কিন্তু করিনি তাসনিম ভাই। এক মুহূর্তের জন্য করিনি।

হারিসের কথা বলেছেন, যোসেফের কথা বলেছেন, আনিসের কথা বলেছেন, টিপুর কথা বলেছেন আপনার সেই মিথ্যেয় ভরা ভিডিওতে। কিন্তু আমাদেরও চিনে রাখেন। আমরা হাসিনার সেই ভাই যে ভাই তার সমালোচনা করি প্রকাশ্যে, তার দলের সমস্ত দুর্নীতিবাজদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেই কিন্তু বোনকে ছেড়ে যাই না। আমার এক ছেলে আর এক মেয়ে। স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে এক অপূর্ব পরিবার।

কিন্তু বোন হাসিনার জন্য যদি ডাক আসে তাহলে লন্ডনের সব ছেড়ে ছুঁড়ে এই বোনের জন্য গিয়ে দাঁড়াবো। এই বোনের জন্য হাসতে হাসতে বুক পেতে দেবো বাংলাদেশের তপ্ত পিচ ঢালা রাস্তায়। হারিসরা, টিপুরা, যোসেফরা কিংবা আনিসরাই শেখ হাসিনার লোক না। আমরাও, আমাদের মতো কোটি নিঝুম মজুমদারও শেখ হাসিনার লোক। আমরা রাত দিন আমাদের প্রিয় বোনকে ঘিরে বসে থাকি কিন্তু , আপনারা তা দেখেন না। জাস্ট জেনে রাখেন তাসনিম খলিল ভাই, আমি শেখ হাসিনার লোক। আমরা শেখ হাসিনার লোক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়