স্বপন দেব: [২] ঘটনার দেড় বছর পর তদন্তে বেরিয়েছে অসৎ চরিত্রের স্বামীর প্ররোচনায় আত্মহত্যা করে স্ত্রী মাধবী। সে উপজেলার তালিমপুর ইউপির আখালিমোরা গ্রামের অকিল বিশ্বাসের মেয়ে।
[৩] সোমবার মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে অভিযুক্ত স্বামী অরকুমার বিশ্বাস (২৬) জামিন চায়। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম মুমিনুন নেছা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
[৪] জানা যায়, জুড়ী উপজেলার সায়পুর গ্রামের অরকুমার বড়লেখা নারী শিক্ষা একাডেমী ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী মাধবী রাণী বিশ্বাসকে কলেজ থেকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের ৫ মাস ৮ দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট স্বামীর বাড়িতেই তার রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে।
[৫] তার বাবা অকিল দাস অভিযোগ করেন, স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা মাধবীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আত্মহত্যার নাটক সাজায়। অবশেষে ঘটনার ৬ দিন পর গত বছরের ২৫ আগষ্ট তিনি মাধবীর স্বামী হরকুমার বিশ্বাস, শ্বশুড় করুণা বিশ্বাস, শ্বাশুড়ি দীপ্তি রানী বিশ্বাস এবং দেবর-ননদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নং আমলী আদালতে পিটিশন মামলা করেছেন।
[৬] আদালত মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ ছাড়াই আত্মহত্যায় কলেজছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবেদন দাখিল করেন। বাদীর না-রাজিতে আদালত মামলাটির তদন্ত ভার পিবিআই’র ওপর ন্যাস্ত করেন।
[৭] পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. মুরসালিন তদন্তে উল্লেখ করেন, কলেজছাত্রী মাধবী রাণী বিশ্বাসের স্বামী অরকুমার বিশ্বাস বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে কুরুচি ও অশ্লীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। তার নানা অপকর্মের দায় নিরপরাধ স্ত্রীর ওপর চাপানোর কারণে সে তা সহ্য করতে পারেনি। মানসিক যন্ত্রনায় ভোগে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে। ’
[৮] ১৯ সালের ২৮ নভেম্বর স্বামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মৌলভীবাজার পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মো. মুরসালিন।