শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:৫৪ দুপুর
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রবিউল আলম : সু চির একূল-ওকূল সবই গেলো!

রবিউল আলম : আপোস করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না, ক্ষমতার মোহ থাকলে মানব সেবক ও স্মরণীয়  হওয়া যায় না। অং সান সু চির পূর্ব ইতিহাসও গণতান্ত্রিক নয়, তার পরেও বিশ্ব তাকে স্থান করে দিয়েছিলো গণতন্ত্রের জন্য। বার্মার জনগণ সু চির উপরে ভরসা করেছিলো। সু চি তার চিরাচরিত পূর্বসূরিদের পথেই ক্ষমতার মোহে পেছনের ইতিহাস থেকে বিচ্যুত হতে পারলেন না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিজের চরিত্র সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মিলিয়ে নিলেন। মানবতাবাদী অং সান সু চি মানবতাহীন হতেও একমুহূর্ত বিলম্ব করলেন না, এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সামরিক বাহিনীর পক্ষে সাফাই গাইলেন।

বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে কিছু শিখতে পারলো না মিয়ারমা। পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতার ভাগ করলে বাংলাদেশ নামের এই স্বাধীন মানচিত্র পৃথিবীর বুকে আবিষ্কারই হতো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের সঙ্গে আপোস করলে বিশ্বের পুঁজি বাজার বাংলাদেশ প্রবাহিত হতো না, বিশ্ব ব্যাংকে মোকাবেলা করে পদ্মা সেতুসহ উন্নয়ন কাঠামো গড়ে উঠতো না। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মাঝে দেশপ্রেম গড়ে উঠাতে সক্ষম হতেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র থাকলে, রাখতে পারলে বিশ্ব রাজনীতির অংশ হতে পারবো। বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগী হতে পারবো, মিরেরসরাই-সহ অর্থনৈতি অঞ্চল তার প্রমাণ বহন করে।

অং সান সু চি নিজের সামরিক বাহিনীকে মানবিক মানবতা শেখাতে তো পারলেনই না, বরং নিজেই ক্ষমতার মোহে রোহিঙ্গা ইস্যুতে অমানবিকতার পরিচয় দিলেন আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির হয়ে। বিশ্ব গণতন্ত্রের সকল স্বীকৃতি হারিয়ে, রোহিঙ্গাদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে এখন আবারও বন্দি জীবন বেছে নিলেন বন্ধুহীন সু চি। অভিশপ্ত  এই রাজনীতির কী অর্থবহন করে, আমি জানি না। তবে মিয়ারমার ভাগ্যের এই মুক্ত পৃথিবীর আলো-বাতাশ যে নেই আমি হলফ করে বলতে পারি।

ইতোমধ্যে কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশ মিয়ারমা থেকে তাদের শিল্পকারখানা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে নিচ্ছে, কী লাভ হয়েছে রোহিঙ্গা তাড়িয়ে, গণতন্ত্রকে হরণ করে। রাশিয়া ও চীন বুঝতে পারলে আবার মিয়ারমাকে জলদস্যুর হয়েই বেঁচে থাকতে হবে। আমার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গর্ব করতে পারি মিয়ারমার মতো বর্বর সরকার ও দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে না জড়ানো জন্য।  লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়