ইসমাঈল ইমু : [২] সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের প্রধান ডা, নাজমুল হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। প্রকৃতপক্ষে অতিরিক্ত মদ পানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাত, লবন, পানি বা মধুও খায় তাও বিষ। অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত হলেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
[৩] এদিকে বেশকিছুদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন পানশালায় বিদেশি মদ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ ক্রেতা ঝুঁকছেন দেশি মদের দিকে। আর এ সুযোগে এক শেণির অসাধু মদ উৎপাদনকারিরা দেশি-বিদেশি মদের মোড়কে ভেজাল মদ সরবরাহ করছে। এসব মদ পানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। গত সোমবার রাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে রাজধানীর ভাটারায় ভেজাল মদের কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ৬জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব ভেজাল মদের কারখানার সন্ধান মেলে।
[৪] মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, করোনাকালীন খ্রিস্টীয় নতুন বছর ও বিভিন্ন উৎসবে নামে তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন ব্যান্ডের মদের নামে প্রতারকদের কাছ থেকে ভেজাল মদ সংগ্রহ করেন। নিছক শখের বশে ঘরোয়া পরিবেশে সেই মদ পান করে এদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
[৫] পুলিশ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ওয়্যারহাউজগুলো থেকে মদ ক্রয় বিক্রয়ে কড়াকড়ি থাকায় বাজারে মদের সংকট তৈরি হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা ভেজাল মদ তৈরির কারখানা গড়ে তুলে। তারা ভেজাল মদ তৈরির উপকরণ স্পিরিট, স্টিকার ও রং মিটফোর্ট হাসপাতালের আশপাশ এলাকা থেকে সংগ্রহ করতো।
[৬] এরপর সেগুলো দিয়ে চিনি পোড়ানো কালার ব্যবহার করে ভেজাল মদ তৈরি করতো। তৈরিকৃত ভেজাল মদ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতো। তাদের মাধ্যমে ভেজাল মদ চলে যেত সেবনকারীদের কাছে।
আপনার মতামত লিখুন :