লিহান লিমা: [২] ভারতের পার্লামেন্টের এবারের বাজেট অধিবেশনেই বিটকয়েনের মতো বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধের জন্য ‘অফিসিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল ২০২১’ প্রস্তাব তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকার নিজেই একটি ডিজিট্যাল কারেন্সি চালু করতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্যে করা রুপির এই ডিজিটাল সংস্করণকে বলা হবে ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি’। সিএনবিসি
[৩] ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ওয়েবসাইটে প্রস্তাবিত বিলটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা তৈরির একটি সহজ কাঠামোর জন্যই এই আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
[৪] গত ২৫ জানুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, যেভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। সরকার ও রিজার্ভ ব্যাংক ডিজিটাইজড কারেন্সি বাজারে চালু করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
[৫] এর আগে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও আয়ারল্যান্ড সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর গ্যাবরিয়েল মখলুফ ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বেড়ে যাওয়া ও বিটকয়েনে বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না মানুষ কেনো সম্পদ এমন অবস্থায় রাখে যা কিনা প্রচলিত পদ্ধতিতে সম্পদ হিসেবে দেখাই যায় না।’
[৬] ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বলা হয় বিনিময়যোগ্য ভার্চুয়াল মুদ্রা। এটি কোন দেশের সরকার কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রা নয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি ও লেনদেন করতে পারে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সরকারগুলি ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি সন্ধান করছে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের উপর নির্দিষ্ট কর বসানো রয়েছে।
[৭] সবথেকে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন। বিটকনকে মার্কিন ডলারে কনভার্ট করা যায়। লকডাউনে এর ভ্যালু রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।