শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৭:১৪ সকাল
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৭:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাশ্মীর ও বালটিস্তানে মানবাধিকার খর্ব হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলকিট-বালটিস্তানে সব ধরনের মানবাধিকার খর্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। সেখানে মানুষের ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি-প্রথা ও পছন্দের অনুশীলন নেই বলে তারা দাবি করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইকনোমিকস টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লন্ডনে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় মানবাধিকার কর্মীরা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলকিট-বালটিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। সেখানে তারা ওই অঞ্চলের সংখ্যালঘু মানুষের অধিকার খর্বের বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেন।

‘হিউম্যান লাইভস ম্যাটার : কমপেরেইটিভ স্টাডি অব হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর অ্যান্ড পাকিস্তান অকুপাইড কাশ্মীর অ্যান্ড গিলকিট-বালটিস্তান’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন ওই আলোচনা সভায় উপস্থাপন করা হয়।

সভায় পাকিস্তান বংশোদ্ভুত মানবাধিকার কর্মী আরিফ আজাকিয়া বলেন, ‘৭০ বছর ধরে কাশ্মীরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই ইস্যুকে জিইয়ে রেখেছে কারণ এটিই তাদের জীবন-জীবিকার মাধ্যম। গিলকিট-বালটিস্তান চীনের কাছে বন্ধক রেখেছে পাকিস্তান সরকার। সেখানে মানুষ নরকে দাসত্বের মতো জীবন যাপন করছে। এ অঞ্চলে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক একটা পরিবর্তন হয়েছে।’

আজাকিয়া আরও বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের ভারতের লোকেরা মানবাধিকার ভোগ করছে। তারা কাশ্মীরের খাবার খাচ্ছে। কাশ্মীরি ভাষায় কথা বলতে ও কাশ্মীরি পোশাক পরতে পারছে। তারা গত সাত দশক ধরে কাশ্মীরি রীতিনীতি অনুধাবন করছে। অথচ, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলকিট-বালটিস্তানের লোকেরা নিজেদের ভাষায় কথা বলা, নিজেদের পোশাক পরা, স্থানীয় রীতিনীতি অনুধাবন এমনকি ধর্ম পালনেও স্বাধীনতা ভোগ করছে না। এখানেও একটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটেছে।’

সমাজকর্মী সুশীল পন্ডিত বলেছেন, ‘পাকিস্তান একটি অগ্রহণযোগ্য স্বতন্ত্র নীতিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। তারা দাবি করেছিল যে হিন্দু মুসলিম একসঙ্গে বাস করতে পারে না। তাদের আলাদা রাষ্ট্র প্রয়োজন। অথচ শতাব্দী ধরে হিন্দু-মুসলিম কীভাবে একসঙ্গে বাস করছে- এ বিষয়টি তারা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছিল।’

তিনি কাশ্মীরে আমূল সংস্কার আনতে এর জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। সুশীল পন্ডিত বলেন, ‘একজন ভারতীয় যা করে কাশ্মীরের লোকজন সেসবই করতে চায়। জুম্মু কাশ্মীরের যুবকরা আইএসআই’র পতাকা ওড়াতে চায় না, যেমনটি পাকিস্তান ও এর সহযোগীরা চাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী এসব শত্রুদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।’ -আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়