শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০১:০৫ রাত
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০১:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ডাকাতি চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার

সুজন কৈরী : সাভারের আমিনবাজার এলাকায় পুলিশ পরিচয় স্বর্ণ ডাকাতির একটি মামলায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের সুরেশ চন্দ্র হালদার (৪৮), কেরানীগঞ্জের মিঠুন মজুমদার (৩৩), উজ্জ্বল চন্দ্র (৩২), মুন্সিগঞ্জের মিহির দাস (৩২), শংকর চন্দ্র ঘোষ (৪৫), পল্লবীর সোহেল আহমেদ পল্লব (৪৫), বহিষ্কৃত সাবেক সেনা সদস্য ফারুক হোসেন (৪০) ও মাদারীপুরের মিঠুন চৌকিদার (৩০)। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া ২২ ভরি স্বর্ণ, স্বর্ণ বিক্রির পাঁচ লাখ টাকা, লুণ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ১২ নস্বর সেক্টরে পিবিআইয়ের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য। তারা পুলিশ ও ডিবি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ডাকাতি করতেন। চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে আরও একজন সাবেক সেনা সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বাকি সদস্যদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁতীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অর্জুন হালদারের কাছ থেকে স্বর্ণ ডাকাতি করেন গ্রেপ্তারকৃতরা। ওইদিন ভুক্তভোগী অর্জুন তার দোকানের কারিগর সুরেশ হালদারকে সঙ্গে নিয়ে রাজবাড়ির পলাশ জুয়েলার্স ও রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্সের মালিকদের অর্ডার দেওয়া স্বর্ণ সরবরাহের জন্য রওয়ানা হন। তিনি একটি কালো ট্রলি ব্যাগের মধ্যে ১ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার ১৫৭ টাকা মূল্যের ১৬৬ দশমিক ৫৫৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বহন করছিলেন। অর্জুন ঘটনার দিন তাঁতী বাজারের বাসা থেকে বের হয়ে রাজবাড়ী যাওয়ার জন্য সাভার পরিবহনে ওঠেন। গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে এসে আবার বাস পরিবর্তন করে রাজবাড়ী পরিবহনে ওঠেন। ওই বাসটি সাভারের আমিনবাজারের বৈদ্যুতিক পাওয়ার প্ল্যান্টের কাছে এলেই চারটি মোটরসাইকেলে ১০ থেকে ১২ জন মাস্ক পড়া লোক বাসটি থামায় এবং ভেতরে উঠে পুলিশ পরিচয় দিয়ে অর্জুন ও সুরেশকে টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে গাবতলীর দিকে রওয়ানা হয়। এরপর ফাঁকা জায়গায় গিয়ে স্বর্ণের ব্যাগটি ছিনিয়ে দুজনকে কিল-ঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অর্জুন ১৮ নভেম্বর আদালতে একটি ডাকাতির মামলা করেন। মামলার তদন্তভার আদালত থেকে পিবিআই ঢাকা জেলাকে দেয়া হয়।

এসপি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, তদন্তে নেমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি ডাকাত চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্যে আবারও অভিযান চালিয়ে শনিবার চক্রের আরও চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ফারুক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে করপোরাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জাতিসংঘের একটি মিশনে অংশ নিয়েছিলেন। গ্রেপ্তার এই চক্রের অপর সদস্য অপারেশনাল কাজে অংশ নেওয়া সোহেল আহমেদ পল্লব। ২০১৮ সাল থেকে ডাকাতির কাজে যুক্ত। তার নেতৃত্বে চক্রটি এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ৭টি ডাকাতি করেছে। চক্রটি ধরতে অনেককেই নজরদারিতে রাখা হযেছে। আরও এক সাবেক সেনা সদস্যের এ ধরনের অপকর্মে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই। তিনিও নজরদারিতে রয়েছেন। এছাড়া সাবেক পুলিশ সদস্যও জড়িত রয়েছেন বলেও জানা গেছে।

এসপি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, এই চক্রে আরও প্রায় ১৫ জন সদস্য রয়েছেন। চক্রটি বিশেষ করে তাঁতীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে বিভিন্নভাবে ডাকাতি করে আসছিলে।

চক্রটি তিন ধাপে ডাকাতির কাজ করতো উল্রেক করে এসপি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, প্রথমত, তথ্য সংগ্রহ, পরে টার্গেট ব্যক্তির সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া। তারপর সেসব লুণ্ঠিত মালামাল বাজারে বিক্রি করা। গ্রেপ্তার হওয়া আট সদস্যের এ তিন ধাপে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। লুণ্ঠিত চোরাই স্বর্ণ কিনতেন তাঁতীবাজারের আরেক ব্যবসায়ী শংকর চন্দ্র ঘোষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়