আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩] দ্য বিগ থ্রি। বৈশ্বিক গণমাধ্যমগুলো এই নামেই সম্বোধন করছে ৩টি প্রধান ভ্যাকসিনকে। এগুলো হলো ফাইজার-বায়োএনটেকের যৌথ প্রয়াস, মার্কিন কোম্পানি মডার্না ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন। এরমধ্যে ফাইজার আর মডার্না বানিয়েছে আরএনএ ভ্যাকসিন। কারণ এর ডিজাইন তৈরিতে অস্বাভাবিক কম সময় লাগে। আর অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি ভাইরাল ভেক্টর। এই ৩টি ভ্যাকসিন ব্যবহার করেই মূলত সারা বিশ্বে বড় ধরনের গণটিকা কার্যক্রম চলছে। বিবিসি
[৪] আরএনএ ভ্যাকসিনে ভাইরাসের জেনেটিক কোডে খুব সামান্য বদল আনা হয়। তারা করোনাভাইরাসের একটি অংশ তৈরি শুরু করে, যা শরীরকে নিরাপত্তা দেয়। আরঅক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করে জেনেটিক পরিবর্তন আনা অক্ষতিকর ভাইরাস।
[৫] যে কোনও সময় বাজারে চলে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের নোভাভ্যাক্স আর জার্মানির জেনসনের তৈরি ভ্যাকসিন। এরমধ্যে জেনসনেরটি হবে বিশ্বের প্রথম করোনাভ্যাকসিন, যার কোনও বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ এক ডোজেই এটি কাজ করবে। জেনসনেরটিও ভাইরাল ভেক্টর। আর নোভাভ্যাক্স ভ্যঅকসিন তৈরির পুরাতন পদ্ধতি প্রোটিন ভিত্তি ব্যভহার করছে। অক্সফোর্ড, নোভাভ্যাক্স আর জেনসনের ভ্যাকসিন সাধারণ রেফ্রিজারেরটরের তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যায়। যা বিশেষত ৩য় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য উপযোগী। ফাইজারেরটি মাইনাস ৭০ আর মডার্নারটি মাইনাস ২০ ডিগ্রিতে সংরক্ষণ করতে হয়।
[৬] এর বাইরে বাংলাদেশের বঙ্গভ্যাক্সসহ ১৭১টি ভ্যাকসিন প্রি ক্লিলিনিকাল ট্রায়ালে রয়েছে। অবশ্য বঙ্গব্যাক্স ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রথম ধাপের অপেক্ষায় রয়েছে। আর প্রথম ধাপের ট্রায়াল চলছে ১৯টির। ২৫টি ২য় আর ২১টি ৩য় ধাপের চূড়ান্ত ট্রায়ালে রয়েছে।