রাজু চৌধুরী: [২] চট্টগ্রাম নগরীতে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
[৩] শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফ করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক।
[৪] তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডবলমুরিং থানার বংশালপাড়ার একটি বাড়ির ছাদে এই কারখানার খোঁজ মেলে। এসময় দুইটি পাইপগান, একটি এয়ারগান, অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামসহ মেহেরুন্নেছা মুক্তা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত এই কারখানায় পাইপগানের মত অস্ত্র তৈরি করা হয়।
[৫] ডবলমুরিং থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বংশালপাড়া এলাকায় একটি গুলির শব্দ শোনা যায়। সংবাদ পেয়ে ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে যান। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা অভিযানের পর গুলির শব্দের উৎস চিহ্নিত করতে সমর্থ হন তারা। পরে বংশাল পাড়া গফুর খান সওদাগরের সেই বাড়ির ছাদের একটি কক্ষে মেলে অস্ত্র তৈরির কারখানা। সরঞ্জামগুলো একটি কবুতরের বাসায় লুকানো ছিল। এই কারখানার মালিক মোহাম্মদ নিজাম খাঁন। ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে তিনিই শাহ আলম নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করেন কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে শাহ আলম বেঁচে যান। গুলির শব্দে চারিদিকে মানুষজন বের হলে নিজাম পালিয়ে যান।
[৬] উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি পাইপগান, একটি এয়ারগান, ১ টি ওয়েল্ডিং মেশিন, ১টি গ্রেডিং মেশিন, ১টি ওয়েল্ডিং হোল্ডার, ১টি আরথিং ক্যাবল, ১টি বিদেশী কাটার, ১টি রিপিট গান মেশিন, ৭টি এসএস পাইপ, ১টি এসএস বক্স পাইপ, ১টি ষ্টিলের তৈরি দুইনলা ব্যারেল, ১টি প্লাষ্টিকের তৈরি সবুজ রংয়ের অস্ত্র সাদৃশ্য বস্তু, ১টি লোহার ছেনি, ১টি কাঠের হাতলযুক্ত বাটাল, ২টি হাতুরী, ১টি স্প্রিং প্লায়াস, ১টি নোজ প্লাস, ১টি স্প্রিং তৈরির প্লায়াস, ১টি লোহার তৈরি পাইপ রেঞ্ছ, ১১টি বিভিন্ন সাইজের লোহার পাইপ, ১টি ড্রিল মেশিন, ১টি ষ্টিলের গ্রিপ প্লায়াস, ২টি করাত, ১৮টি বিভিন্ন সাইজের স্প্রিং, ২টি সাদা রংয়ের কাগজের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রের নকশা, ১টি প্লাষ্টিকের বাটযুক্ত ছোড়া এবং ১টি কাটি।
[৭] মূলত এই কারখানায় পাইপগানের মত অস্ত্র তৈরি হত। এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[৮] ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ' রাতে বংশালপাড়া এলাকায় একটি গুলির শব্দ শোনা যায়। সেই গুলির শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়েই এই কারখানার সন্ধান মেলে। তিনি আরও বলেন একজনকে এই সময় একজনকে গ্রেপ্তারে সমর্থ হলেও মূলহোতাসহ আরও দুইজন পলাতক রয়েছে তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।' সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :