ডেস্ক রিপোর্ট: নরসিংদীর শিবপুরে এক নার্সকে (২০) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আশুতিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে দুজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন-শিবপুরের মজলিশপুর এলাকার তারা ভূইয়ার ছেলে হারুন ভূইয়া (২০), একই এলাকার মতিন কমান্ডারের ছেলে মনির ভূইয়াসহ (২০) অজ্ঞানামা দুজন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলার বাদীর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে নরসিংদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করে ও ছোট মেয়ে বাড়িতে থাকে। গত আট মাস আগে বড় মেয়ের বিয়ে হয়। চাকরির সুবাধে বড় মেয়ে নরসিংদীতেই থাকে। গত মঙ্গলবার সকালে বাদীর ছোট মেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে তার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়।
ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত হারুন ভূইয়া তার ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে ভুক্তভোগী নার্সকে ফোন করে জানায় তার ছোট বোনকে নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে সে যেন দ্রুত চলে আসে। ওই সময় ওই নার্স তার ছোট বোনের নম্বরে বেশ কয়েকবার ফোন করে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে রাতেই মজলিশপুরের উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত পৌনে ১০টায় মজলিশপুর পৌঁছেন। তখন অপর অভিযুক্ত মনির ভূইয়া ভুক্তভোগী নার্সকে তার ছোট বোনের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আশুতিয়া এলাকার একটি কলা ক্ষেতে নিয়ে যায়।
সেখানে যাওয়ার পর অভিযুক্ত হারুন, মনির ও অজ্ঞাতনামা দুজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে অজ্ঞাত দুজন চলে গেলে অভিযুক্ত হারুন ও মনির ওই নার্সের আত্মীয়কে ফোনে জানান ওই নার্স অসুস্থ অবস্থায় কলা ক্ষেতে পড়ে আছে। খবর পেয়ে তার ওই আত্মীয় ও ছোট বোন তাকে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নার্সের বাবা বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) অভিযুক্ত মনির ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর মনির ভূইয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় তার সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছেন। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’ সূত্র: আমাদের সময়
আপনার মতামত লিখুন :