ইসমাঈল ইমু: [২] বৃহস্পতিবার বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশী ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ১৯ বাংলাদেশী নাগরিককে হস্তান্তর করে।
[৩] বাংলাদেশে প্রবেশের আগে বিয়ানীবাজারের শেওলা আইসিপিতে নিয়োজিত মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। কোনো করোনা উপসর্গ না পাওয়ায় এবং করোনা টেস্ট এর নেগেটিভ রেজাল্ট থাকায় তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ প্রদান করে তাদের নিজ নিজ আত্নীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
[৪] স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কুটনৈতিক তৎপরতায় আসামের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার এর সার্বিক সহযোগিতায় বিজিবি খুব দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট বিএসএফ কর্তৃপক্ষ, ভারতের আসাম পুলিশ কর্তৃপক্ষ ও আসাম রাজ্য সরকারের চীফ সেক্রেটারি এর সাথে কার্যকর যোগাযোগ করে এই ১৯ বাংলাদেশী নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে।
[৫] গতবছর ২২-২৬ ডিসেম্বর আসামের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন চলাকালীন বিজিবি মহাপরিচালক কর্তৃক ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আসাম রাজ্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল।
[৬] বাংলাদেশী নাগরিকদের হস্তান্তরের সময়ে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল গাজী শহীদুল্লাহ, বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :