মোমেন মাহমুদ: [২] কক্সবাজার থেকে তৃতীয় দফায় ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ১৬টি বাসে করে আট শতাধিক রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস যাত্রা শুরু করে।
[৩] বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুইদিনে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের কথা রয়েছে।
[৪] শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা নয়ন জানান, স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী এমন প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অনেককে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ ও ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে।
[৫] গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন এবং ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৮০৪ জনসহ মোট ৩ হাজার ৪৪৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও, আরও আগে থেকে সেই দ্বীপে ৩০৫ জন রোহিঙ্গা ছিলেন, যাদের সাগর থেকে উদ্ধার করে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
[৬] ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এই হিসাব ২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে থেকে সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :