ডা. লেলিন চৌধুরী : গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে নতুন করে শঙ্কা জাগছে। গত ২১ জানুয়ারি লন্ডন থেকে বিজি-২০২ ফ্লাইটে ১৫৭ জন যাত্রী সিলেট আসেন। নিয়মানুযায়ী তাদের ৪ দিন কোয়ারিন্টাইনে রাখা হয়। ৪ দিন পর গত ২৪ জানুয়ারি তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। পরদিন ২৫ জানুয়ারি জানা গেলো ২৮ জনের করোনা পজেটিভ। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবরটি শঙ্কা জাগানিয়া। যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট আসা করোনাক্রান্ত ব্যক্তিদের কেউ ‘অতিসংক্রমণশীল নতুন ভাইরাস’ বাহী হয়ে থাকলে, বাংলাদেশের জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি হবে। তাই এই ২৮ জনের নমুনা থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের ‘জিনবিন্যাস (জিনোম সিক্যুয়েন্স) পরীক্ষা করা এখন অত্যন্ত জরুরি।
একইসঙ্গে কোয়ারিন্টাইনের সময়কাল ১৪ দিন ধার্য করা দরকার। আমরা জানি করোনা পরীক্ষার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষাপদ্ধতি হচ্ছে ‘আরটি পিসিআর’ পরীক্ষা। সকল মান বজায় রেখে পরীক্ষা করা হলেও এতে ৬৭ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। বাকি ৩৩ শতাংশ হয় না। তার মানে সিলেটে ২৮ জন শনাক্ত হয়েছে এবং আরও ১২/১৩ জনের শনাক্ত না হওয়ার সম্ভবনা রয়ে গেলো। তারা উপসর্গবিহীন হয়ে থাকলে নীরবে করোনা ছড়ানোর কাজটি করবে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর ২৮ জন বাদে সবাইকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে ‘হোম কোয়ারিন্টাইন’-এ থাকার জন্য। আমরা অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছি বাংলাদেশে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ তেমন মানা হয় না। তাই বিপদের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা সকল যাত্রীর জন্য ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন আরোপ করা অতিআবশ্যক।
দেশে সংক্রমণের হার কমে আসছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পথে। এটি স্বস্তির বিষয়। করোনার টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। এটি আরও স্বস্তিকর। এরকম এ অবস্থায় নতুন করে ‘অতিসংক্রমণশীল ইউকে ভাইরাস’-র উপস্থিতি আমাদের নতুন বিপদের মধ্যে ঠেলে দেবে। সাবধান হওয়ার এখনই সময়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :