আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] সেরাম ইন্সটিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আপাদত ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহের কোনও পরিকল্পনা নেই। সম্প্রতি ইউরোপে সরবরাহ বাড়াতে ইইউ এর প্রবল চাপের মুখে রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তাদের ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি ভ্যাকসিনটিই উৎপাদন করছে সেরাম। আরব নিউজ
[৩] বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন কোম্পানিটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার হয়ে ভ্যাকসিন সরবরাহে দায়বদ্ধ। কিন্তু তারা আপাদত নিজেদের চুক্তি পূরণেই ব্যস্ত রয়েছে।
[৪] রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘আমরা অ্যঅস্ট্রাজেনেকার যেখানে সহায়তা প্রয়োজন, আমরা তা করছি। কিন্তু আমরা ইউরোপে সরবরাহ করতে পারবো না। বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে আমাদের বড় ধরণের চুক্তি রয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতি দায়িত্ব বোধ আছে। সেটি আগে সম্পন্ন করতে হবে। আগে এটা শেষ করে তারপর ধনী দেশগুলোর দিকে নজর দেবো আমরা। এতে আমাদের ৬ মাস থেকে এক বছর লাগবে।’
[৫] বাংলাদেশকে প্রতিডোজ ৪ ডলারে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিচ্ছে কোম্পানিটি। আর ভারতের কাছে বিক্রি করছে ৩ ডলারে। তবে চুক্তি অনুযায়ী ভারতের দামেই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে বাধ্য সেরাম। তাই বাংলাদেশের আরও অতিরিক্ত প্রায় ১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।