আবদুল ওহাব: [২] বগুড়ায় ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে ট্রাক মালিক ও ড্রাইভারকে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ট্রাক চুরি ঘটনায় পুলিশ ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
[৩] গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়াগুদাম লেনের মজিবর রহমানের ছেলে ৮ মামলার আসামী ও বহুল আলোচিত তুফান সরকারের ভাই সোহাগ সরকার (৩৬) এবং দুঁপচাচিয়া থানার আলতানগর মথুরাপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শাহীন (২৮)।
[৪] মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ৯৯৯ ফোন করলে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[৫] অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলার ফারাজীবাড়ীর মজিবর রহমান ফারাজী (ট্রাক মালিক) ও তার ড্রাইভার ঢাকা থেকে বাড়ির মালামাল নিয়ে সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বগুড়া চারমাথা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে ফিরতি পথে ফারাজির বিয়াই জনৈক্য সবুজকে ফোন করে। বেলা ১২ টার সময় সবুজ পালশা এলাকায় পারভেজের বাড়িতে তাদেরকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে জিসান ও খলিল নামে ২ যুবক পারভেজের বাড়িতে এসে পারভেজ ও সুমনের সাথে লেনদেনকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। এরই এক পর্যায়ে খলিল ওই ট্রাকের মালিকের পরিচয় জানতে চায়, সবুজ তাদেরকে মেহমান বলে পরিচয় করে দেয়। ওই সময় খলিল ও সিজান, রিমন ফারাজী ড্রাইভার ইমরান, সবুজ, পারভেজ ও সুমনকে ডেকে মাঠে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখায়। সেখানে অবস্থানরত সোহাগ সরকার ওই ট্রাকের মালিক ও ড্রাইভার এবং সবুজকে মারপিট করতে থাকে। সেখান থেকে ট্রাকের মালিক রিমন ফারাজী, ড্রাইভার ইমরান এবং সবুজকে তুলে নিয়ে গিয়ে জহুরুল নগর জনৈক্য বেলালের ছাত্রাবাসে রাত ৮ টার দিকে আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ট্রাক চুরি করার চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় কৌশলে রিমন ফারাজী পালিয়ে গিয়ে মঙ্গলবার সনধ্যা পৌণে ৭ টার সময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে স্টেডিয়াম ফাড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহাগ সরকার ও শাহীনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
[৬] সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবীর জানান, সোহাগ সরকার ৮ মামলার আসামি। আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে। এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ট্রাকের মালিক রিমন ফারাজী। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :