শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩৮ সকাল
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাঈদ তারেক : ধারণা করছি, আমরা এখনো ফার্স্টওয়েভ বা প্রথম ধাক্কায়ই আছি!

সাঈদ তারেক : কথায় আছে ‘কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ’। করোনায় একদিকে ঘরে ঘরে কান্নার রোল উঠেছে হাজার হাজার মানুষ লাশ হয়ে বিদায় নিয়েছে, পাশাপাশি- দেশে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ, ফকিরনীর পুত থেকে রাজপুত বনে গেছে। একইভাবে করোনা নিয়ে মিডিয়ায় টকটকানি করে অনেক অখ্যাত কুখ্যাত লোক বিখ্যাত হয়ে গেছে। দেশে করোনার প্রকোপ কমে আসায় এই শ্রেণির আঁতেল বুদ্ধিজীবী বিশেষজ্ঞের যেন মাথায় হাত! করোনা পরিস্থিতি যে আগের মতো নেই এটা তারা মানতেই চান না। সেই একই গীত বাণী-বচন। সাবধানতার নামে আতংক ছড়ানো, মানুষকে এখনও ভীত করে তোলা। অবশ্য এটা ঠিক, করোনা দূর হলে এই শ্রেণির আঁতেল বিশেষজ্ঞদের কদর কমে যাবে। টিভি পর্দায় ঘনঘন চেহারা দেখানোর সুযোগ থাকবে না। বলার অপেক্ষা রাখে না করোনা আমাদের দেশে সুবিধা করতে পারেনি। ডব্লিউএইচও থেকে শুরু করে তাবৎ বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত গবেষকের আশংকা ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। সমস্ত হিসেব ওলোটপালোট হয়ে গেছে। একটাই কারণ, যেটা কেউ ধারণাই করতে পারেনি- এ দেশের মানুষের দেহের গড় ইমিউন যথেষ্ট শক্তিশালী। প্রকৃতিগতভাবেই মেহনতি জনতা তথা সাধারণ গরিব খেটেখাওয়া মানুষগুলোর শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়ে আছে। এই দীর্ঘ করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধির থোড়াই কেয়ার, ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজেশনের কারবার নেই, স্যোশাল ডিসট্যান্সিংয়ের বালাই নেই, থুতনীতে একটা মাস্ক ঝুলিয়ে মানুষগুলো দিব্বি নিরাপদ থেকে গেলো। আতংকটা বেশি ছিলো দুর্বলচিত্তের মধ্যবিত্তের মাঝে। যাবতীয় এক্সারসাইজ জারী রেখে কোনোমতে সামাল দিয়েছে। অর্থবিত্তের মালিকরা স্বভাবসুলভ তারকা হাসপাতাল আর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের হাতে নিজেদেরকে সঁপে দিয়েছিলেন, তারই বেশি মরেছেন। ভাইরাস এ দেশে এসেছে এবং কোনো সন্দেহ নেই ব্যপকভাবেই ছড়িয়েছে। কিন্তু এন্টিবডি থাকার কারণে আক্রান্ত হবার পর বেশিরভাগই টের পাননি। ভাইরাস আপনা থেকেই মরে গেছে। যাদের শরীরে ইমিউন দুর্বল বা এন্টিবডি নেই অথবা আগে থেকেই নানা জটিল রোগে ভুগেছেন ক্ষেত্রবিশেষে তারা সার্ভাইভ করতে পারেননি। হতে পারে সাধারণ মানুষের দেহে এই এন্টিবডি থাকার কারণ অখাদ্য কুখাদ্য ভেজাল নানা কেমিক্যাল ইনসেক্টিসাইড পেস্টিসাইড সার এবং নানা কিছুর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ ফরমালিন কার্বাইড ভক্ষণ করে হজম করে দেওয়া! এ ছাড়া আমাদের দেশের মানুষ প্রচুর পরিমাণ মশলা এবং ঝাল খায়। বিড়ি সিগারেট টানে। টার নিকোটিনও ভাইরাস প্রতিরোধে ভূমিকা রেখে থাকতে পারে। পশ্চিমা বা উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমাদের যে অবস্থা তাতে পণ্ডিতদের কথামত ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকাই ছিলো। কিন্তু আল্লাহই বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আমি তো দেখছি ভেজাল অখাদ্য কুখাদ্য ফরমালিন কার্বাইড যে একটা অতিমারি ঠেকিয়ে দিতে পারে এটাই প্রমাণ হলো। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা নেই তারপরও এইখানে এসে পণ্ডিত গবেষক বিশেষজ্ঞদেরকে আমতা আমতা করতে শুনি। হয়তো হিসেব মেলাতে পারেন না। আবার এটাও বলতে পারেন না কেন আমরা অপেক্ষাকৃতভাবে কম ক্ষতিগ্রস্থ।

পশ্চিমে সেকেন্ড ওয়েভ চলছে। এর ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিভিন্ন দেশে প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, লকডাউন চলছে। আমার ধারণামতে আমরা এখনো ফার্স্টওয়েভ বা প্রথম ধাক্কায়ই আছি। বর্তমানে সংক্রমণের যে ট্রেন্ড তা যদি আর কয়েকটা দিন অব্যাহত থাকে ধরে নেয়া যেতে পারে এ যাত্রা কাটিয়ে উঠলাম। এরপর ভ্যাকসিন যদি ঠিকমত কাজ করে তাহলে রোজার আগেই একটা স্বস্তিকর অবস্থা ফিরে পাবো। তবে হ্যাঁ, সেকেন্ড ওয়েভের আশংকা যে একেবারেই নাই তা কিন্তু ঠিক না। ফার্ষ্ট ওয়েভ এসেছিলো ইটালি থেকে, সেকেন্ড ওয়েভ যদি আসে আসবে ইংল্যান্ড থেকে। সে দেশে বর্তমানে হাহাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে ভাইরাসটি তা করোনার একটি নতুন প্রজাতি। উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন প্রতিরোধ করতে পারছে না। অবশ্য কাল মডার্না বলেছে তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসীন নাকি এই ভাইরাস মারতে সক্ষম। আমেরিকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে যে ভাইরাস ধারণা করা হচ্ছে সেটিও একই প্রজাতির। অনেকে মনে করেন সে দেশে চালান হয়েছে ইংল্যান্ড থেকে। আমাদের দেশে ইতোমধ্যেই এই প্রজাতি সনাক্ত হয়েছে বলে খবর বেড়িয়েছে। সিলেটে লন্ডন থেকে আসা অনেকের শরীরে পাওয়া গেছে। কজেই এখন থেকেই সাবধান হতে হবে। গতবার ইটালি থেকে আসা প্রবাসীদের নিয়ে যে লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো এবারও যদি একই পরিস্থিতি দাঁড়ায় তাহলে আবার হায়হায় করা ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়