আব্দুল্লাহ মামুন : [২] বইটির সপ্তম অধ্যায়ের ‘গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন’ শীর্ষক শিরোনামে রাজনৈতিক দলের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ঠিকঠাক পরিচয় না দেওয়া, বিএনপিকে ইসলামী দল ও মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারকবাহক বানানো হয়েছে। জামায়াতের পরিচয় দিতে গিয়ে দলটির মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার তথ্য এবং এ দেশে নিষিদ্ধ হওয়ার তথ্যটি সম্পূর্ণ চেপে যাওয়া হয়েছে।
[৩] শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। কোনও জাতির ইতিহাস বিকৃতি হলে সেই জাতির আত্মাকেই বিকৃত করা হয়। বিকৃত বই বাতিল করে নতুন বই প্রণয়ন করা জরুরি।
[৪] ঢাবির সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, চলতি বছরের নবম-দশম শ্রেণির বইয়ে তথ্য বিকৃতি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে অনতিবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এই গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের দ্বারা কীভাবে এমন মারাত্মক ভুল হলো, তা আমাদের জানা প্রয়োজন।
[৫] ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। তাদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যেসব তথ্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা যদি বিকৃতভাবে পাঠ্যবইয়ে উপস্থাপন করা হয়, তাহলে তো শিশুদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
[৬] তথ্য বিকৃতি অত্যন্ত দুঃখজনক। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ উচিত বলেও মনে করেন এই শিক্ষাবিদ। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব