রাশিদ রিয়াজ : পশ্চিম তীরের শহর হেবরনে যেটি আল-খালিল হিসেবে পরিচিত, সেখানে ইব্রাহিমি মসজিদের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি সরকার। ওয়াফা বার্তা সংস্থাকে ইব্রাহিমি মসজিদের পরিচালক শেখ হাফতি আবু স্নিনা বলেন হেবরন রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির কর্মচারীরা যখন মজজিদটির দেওয়াল রং করছিল, পাথর পরিস্কার করছিল তখন তাদের বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সেখানে মসজিদের ঐতিহাসিক শিলালিপিগুলো পরিস্কার করছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যরা অভিযোগ করে তাদের কাছে প্রয়োজনীয় পারমিট ছিল না। ইকনা
শেখ হাফতি আবু স্নিনা নিশ্চিত করেছেন যে, মসজিদটিতে এধরনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার। ফিলিস্তিনিদের ইসলামিক ওয়াকফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আদেশেই তারা সেখানে মসজিদ সংস্কারের কাজে গিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সাইটে এধরনের বাধদানকে তাদের নিয়ন্ত্রণ আরোপ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
২২ বছর আগে ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারী বারুচ গোল্ডস্টেইন ইব্রাহিম মসজিদে ঢুকে পড়ে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালালে ২৯ জন নিহত হয়। একই দিন চারজন ফিলিস্তিনি এঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে মারা যান। এরপর মসজিদটি মুসলমানদের সাথে ইহুদিদের উপাসনার জন্যে খুলে দেওয়া হয় এবং এর বড় একটি অংশ তাদের উপসনালয়ে পরিণত করা হয়। ফিলিস্তিনিদের মসজিদটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধি নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। সেখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও বেশ কিছু অঞ্চল যেখানে মুসলমানদের ব্যবসা বাণিজ্য ছিল তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেখানকার প্রধান সড়ক শুহাদা স্ট্রিট বন্ধ করে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
হেবরন শহরে ১ লাখ ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি মুসলিম বাস করছে। রয়েছে ৮শ ইসরায়েলি জোরপূর্বক বসতিস্থাপনকারী। তাদের কড়া প্রহরা দিয়ে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে একমাত্র আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষককে বহিস্কার করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। গত ৫৩ বছর ধরে ইসরায়েল পশ্চিম তীরে জোরপূর্বক বসতিস্থাপন সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মারাত্মক সহিংসতা নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।