মো: সাগর আকন: [২] বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে একাধিক বার ধর্ষণ করার অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় আবুল বাশারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণের ফলে জম্ম নেওয়া শিশু আসামির পরিচয় বড় হওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
[৩] দণ্ড প্রাপ্ত আবুল বাশার (২৫) বরগুনা সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের বধুঠাকুরানী গ্রামের আবদুল হালিম মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
[৪] জানা যায়, মামলার বাদী ও ভিকটিম ওই আদালতে ২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর আসামি আবুল বাশারের বিরুদ্ধে মামলা করে অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের ২৫ আগষ্ট হতে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় আবুল বাশার তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিম গর্ভবতী হয়। বাশার ভিকটিমকে বিয়ে করতে রাজি না হলে আদালতে মামলা করে। মামলা চলাকালিন সময় ভিকটিম একটি পুত্র সন্তানের মা হন।
[৫] আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, ধর্ষণের ফলে ১০ বছর আগে ভিকটিমের একটি পুত্র সন্তান জম্ম নেয়। সিয়াম নামের ছেলেটি এখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সন্তানটি বাশারের পরিচয় বড় হবে। দুই লাখ টাকা অর্থ দণ্ড রাষ্ট্র আদায় করে ভিকটিমকে প্রদান করিবে। এ ছাড়া শিশুটির লেখাপড়া ও ভরন পোষণের দায়িত্ব সরকার বহন করবে। রায় ঘোষণার সময় বাদী তার শিশু সন্তান নিয়ে আদালতে উপস্থিত ছিল।
[৬] রাষ্ট্র পক্ষে এপিপি আশ্রাফুল আলম বলেন, বাদী পক্ষ রায়ে সন্তুষ্ট। বাদী আদালত প্রাঙ্গনে বলেন, আসামি বাশার আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসংখ্যবার ধর্ষণ করেছে। অথচ বাশার আমাকে বিয়ে করেনি। আমার ছেলেকে স্কুলে ভর্তির সময় তার বাবার নাম ঠিকই আবুল বাশার দেওয়া হয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত বিয়ে করিনি।
[৭] আসামি আবুল বাশার আদালতের বারান্দায় বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আমি হাইকোর্টে আপিল করব। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, আইনজীবী মো: নিজাম উদ্দিন।
আপনার মতামত লিখুন :