রাশিদুল ইসলাম : [২] ‘নেচার’ সায়েন্স জার্নালের এই গবেষণায় রকফেলার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় ইমিউন কোষ বা মেমরি বি কোষ এখন অনেক সক্রিয়। ফলে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বও বাড়ছে। কম করেও ছ’মাস ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেবে অ্যান্টিবডি। করোনার নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] প্রথমবার করোনা সারিয়ে ওঠার পরে অ্যান্টিবডির সংখ্যা তেমন বৃদ্ধি না পাওয়ায় নতুন স্ট্রেনের মোকাবিলা করার মতো রোগ প্রতিরোধ শক্তিও তৈরি হয়নি শরীরে। তাই সহজেই ভাইরাসের রিইনফেকশন একাধিকবার আক্রান্ত করছে রোগীকে।
[৪] গবেষক মাইকেল সি নুসেনজওয়েইগ বলেছেন, রক্তরস বা প্লাজমায় তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বকাল যদি রোগীর শরীরে কোনও ক্রনিক রোগ বা জটিল সংক্রমণজনিত রোগ না থাকে তাহলে তা আরো আরও বাড়বে।
[৫] সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিন দেহকোষের রিসেপটর প্রোটিনের সঙ্গে জোট বেঁধে কোষে ঢোকার পরেই প্রতিলিপি তৈরি করে সংখ্যায় বাড়তে থাকে। ভাইরাল প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনের খবর পেলেই রক্তের বি লিম্ফোসাইট কোষ উদ্দীপিত হয়। এই কোষ তখন অ্যান্টিজেনের প্রতিরোধে বিভাজিত হয়ে নিজের অসংখ্য ক্লোন তৈরি করে। এই কোষগুলি থেকেই রক্তরস বা প্লাজমায় অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
[৬] গবেষকরা বলছেন, মেমরি বি-কোষ কোনও ভাইরাল স্ট্রেন পরবর্তীকালে দেহকোষে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেবে। শুরুতে বলা হয়েছিল, করোনার অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব তিন মাসের বেশি নয়। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সংক্রামিত রোগীদের রক্তরসে অ্যান্টিবডির টিকে থাকার সময় কম করেও পাঁচ মাস। গবেষকরা বলছেন, সংক্রমণের ঠিক পরেই যে প্লাজমা কোষ তৈরি হয় তার স্থায়িত্ব বেশিদিন নয়। এটা হল ইমিউন রেসপন্সের প্রথম ধাপ।
[৭] দ্বিতীয় ধাপে যে প্লাজমা কোষ তৈরি হয় তার স্থায়িত্ব অনেক বেশি। এই প্লাজমা সেল থেকে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে তার টিকে থাকার সময়ও হবে বেশিদিন। এই হাই-কোয়ালিটি অ্যান্টিবডি ছয় থেকে সাত মাসের বেশি টিকে থাকতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :