মাহিন সরকার: [২] ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে হাসান বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন। অভিষেক ম্যাচে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। পরের ম্যাচে আরও একটি। তরুণ বয়স থেকে ছোটোখাটো অনেক বাধা অতিক্রম করেছেন হাসান।
[৩] যুব ক্রিকেট পেরোনোর পর কাঁধের চোটে এক বছর ছিলেন বাইরে। পুনর্বাসনে যখন একাডেমি মাঠে খাটছিলেন, তখন তামিমের নেট বোলার ছিলেন। সেই ডানহাতি পেসার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যাপ পেয়েছেন তামিমের হাত থেকে।
[৪] পেসার হাসান বলেন, যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। যদিও অভিষেক ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও চেষ্টা করেছি প্রথম ম্যাচের মতোই পারফর্ম করা। কিন্তু হয়নি। ইনশাআল্লাহ সামনে হবে।
[৫] কঠিন সময় পেরিয়ে ক্যারিয়ার আলোর মুখ দেখায় বেশ খুশি হাসান, ইনজুরির সময়টা আসলে চাপের মধ্যেই ছিলাম। এক বছর লেগেছে ফিরে আসতে। পরে এইচপিতে ফিরেছি, ওখানে ভালো করেছি, ওই জায়গা থেকেই শুরু হয়েছে।
[৬] ঘরোয়া ক্রিকেটের অলিগলি ঘুরে তার ঠিকানা এখন জাতীয় দল। দুই অঙ্গনের পার্থক্য টের পেলেও নিজের শক্তিতে বিশ্বাসী এ পেসার, প্রকৃতপক্ষে জিনিসটা হলো প্রক্রিয়া ঠিক রাখা। দিনকে দিন আপনি উন্নতি করছেন কি না সেটা আসল ব্যাপার। নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারা হবে গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে কোনও সমস্যা হবে না।
[৭] ডানহাতি পেসারের শক্তির জায়গা তার গতি। বিপিএলে ১৩৫ থেকে ১৪০ গতিতে ধারাবাহিক বোলিং করেছেন। কখনও কখনও গতি বাড়িয়েছেন। গতি তার নিয়ন্ত্রিত। সঙ্গে বাড়তি যোগ করেছেন বৈচিত্র্য। নতুন কিংবা পুরোনো বলে করাতে পারেন সুইং। অভিষেকে শক্তিমত্তা দেখিয়েছেন ভালোভাবেই। এবার সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা।
আপনার মতামত লিখুন :