লিহান লিমা: [২] বোয়িং বলছে, জীবাশ্ব জ্বালানি ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হ্রাসে এই দশকের শেষের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য উৎপাদিত বিমানগুলোতে শতভাগ জৈবজ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে। গার্ডিয়ান
[৩]বোয়িংয়ের এই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের বর্তমানের চাইতে অর্ধেকেরও কমিয়ে আনতে উন্নত ও হালনাগাদকৃত জেট ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি মিশ্রণ সক্ষমতা এবং বৈশ্বিক নীতি-নির্ধারক কর্তৃক সত্যায়িত নিরাপত্তা ছাড়পত্র অর্জন।
[৪]বোয়িংয়ের স্থিতিশীল কৌশল প্রণয়ন বিষয়ক পরিচলাক সিয়ান নিউসাম বলেন, ‘এটা একটা অসাধারণ চ্যালেঞ্জ। এটি আমাদের আজীবনের চ্যালেঞ্জ। কার্বন নিঃসরণ কমাতে এভিয়েশন তার সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
[৫]২০১৮ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বের কোনো শতভাগ জৈবজ্বালানিসম্পন্ন বাণিজ্যিক ফ্লাইট ফেডএক্স কর্প ৭৭৭ উড্ডয়ন করেছিলো বোয়িং।
[৬]এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাকশন গ্রুপের তথ্য মতে, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের মোট ২ শতাংশের জন্য দায়ী বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ এবং ১২শতাংশের জন্য দায়ী যাত্রীবাহী বিমান।
[৭]নতুন উৎপাদিত বিমানগুলোর ওজন ও ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ করে বোয়িং ও তাদের ইউরোপিয় প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে চাইছে। বোয়িং বলছে, বর্তমানে প্রচলিত জেট জ্বালানির সঙ্গে সরাসরি জৈবজ্বালানি ৫০/৫০ ভাগ মিশ্রণ করা হচ্ছে।
[৮]বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সর্বাধিক বিক্রিকৃত ৭৩৭ম্যাক্স বিমানের দুইটি মারাত্মক দূর্ঘটনার পর প্রায় ২০ মাস যাবত এই মডেলটির উড্ডয়ন বিশ্বজুড়ে বন্ধ থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :