ডেস্ক রিপোর্ট: তামাকের জেলা খ্যাত লালমনিরহাটে কমছে তামাক চাষ। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার তামাক উৎপাদন নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। পাশাপাশি গম, সরিষা, ভূট্টা, আলু ও ধানের উৎপাদন আগের চেয়েছে বেড়েছে।
কৃষকরা বলছেন- করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে খাদ্যশষ্যের ভালো দাম পাওয়ায় তামাকের পরিবর্তে ফসল চাষে ঝুঁকছেন তারা।
পাঁচ দফার বন্যার ধকল কাটিয়ে করোনা মহামারিতে কৃষি পণ্যের দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হয়েছে কৃষক। তবে একই সময়ে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তামাক চাষীরা। তাই এবার তামাক না করে অন্য ফসল চাষে ঝুকছেন তারা।
এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে জেলায় আস্তানা করে থাকা বাইরের তামাক কোম্পানিগুলো ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। যা কৃষির জন্য ইতিবাচক। তবে কৃষিবিদদের দাবি সরকারি প্রণোদনা বাড়ানো ও কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা না গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি।
কৃষিবিদ শাহ্ আলম বলেন, ‘চাহিদা মতো যদি তাদের প্রণোদনা দেয়া হয়, শষ্যর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এবং কৃষি অফিস থেকে যদি সহযোগিতা করা হয় তাহলে আমি মনে করি, কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও খামারবাড়ি উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, ‘বাজারে চাহিদাটা কি তা বুঝে কিন্তু আপনি সেই ফসলাটা আপনি করবেন। এই বিষয়টা আমরা কৃষকদের মাথায় মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে কৃষকের লাভের কথা মাথায় রেখে সার্বক্ষণিক পাশে থাকাব।’
দেশের মোট উৎপাদিত তামাকের ৪০ ভাগই উৎপাদন হতো লালমনিরহাটে। এবার তা কমে সাত হাজার চারশ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। যা গত দশ বছরের পরিসংখ্যানে ৪৮ শতাংশ কম। পাশাপাশি নতুন ফসল হিসেবে চাষ শুরু হয়েছে সূর্যমুখীর। ডিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :