তৌহিদুর রহমান : [২] সৃজনশীল মানুষের সৃষ্টিকর্মই হচ্ছে বড় অর্জন। এমনি একজন লেখকের সন্ধান মিলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে। যিনি ২৭ হাজার শব্দের ৩ টি গল্প লিখেছেন যার প্রতিটি শব্দ ‘ক’ দিয়ে শুরু।
[৩] প্রায় ২০ বছর সাহিত্য সাধনা করে বাংলা সাহিত্যে নতুন ধারার সৃষ্টি করেছেন নাজমুল কবির। বিরল এ সাহিত্য চর্চা করতে গিয়ে হারিয়েছেন সব কিছুই এমনকি নিজের পরিবারও। এখন তার একমাত্র চাওয়া গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাক তার সাহিত্য কর্ম।
[৪] “ কালিকচ্ছ ক্যাম্পের কাছেই কাজীউড়া কৈলাশ কর কেন্দ্রীয় কমার্শিয়াল কলেজ। কেউ কেউ কইবেন, কালিকচ্ছটা কোথায়?” এভাবেই প্রতিটি শব্দের আদ্যক্ষর শুরু করেছেন ‘ক’ দিয়ে। যা ইতিমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে পাঠকদের মাঝে।
[৫] কবিতার ক্ষেত্রে একটি লাইনের প্রথম অক্ষরটি একটি নির্দিষ্ট বর্ণ দিয়ে শুরু হলেও গদ্য সাহিত্যের ক্ষেত্রে প্রতিটি শব্দের প্রথম আদ্যক্ষর একটি নির্দিষ্ট শব্দ দিয়ে শুরু করা বিরল বলে মনে করছেন বিশিষ্ট জনেরা।
[৬] ১৯৬৭ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে মেধাবী এই লেখকের জন্ম। গ্রামের মক্তবে শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন
করেন। এরপর কিছুদিন শিক্ষকতা শেষে সাহিত্য সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন।
[৭] এ পর্যন্ত তিনি কেষ্ট কবির কষ্টগুলো, কেষ্ট কবির বনফারেন্স ও কেষ্ট কবি নামে প্রায় ২৭ হাজার শব্দের ৩ টি গল্প লিখেছেন যার প্রতিটি শব্দের আদ্যক্ষর ছিল ‘ক’। এর মাধ্যমে তিনি নিজের জীবনের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেছেন।
[৮] ২০১০ সালে কেষ্ট কবির কষ্টগুলো, ২০১৩ সালে কেষ্ট কবির কনফারেন্স ও ২০১৬ সালে কেষ্ট কবি নামের তার রচিত ৩টি বই প্রকাশিত হয়। সূধীজনরা বিষয়টিকে সাহিত্য সাধনায় অভিনব উদ্ভাবন বলে দাবী করেছেন।
[৯] তবে সাহিত্য সাধনা করতে গিয়ে জীবন-যৌবনের পাশাপাশি হারিয়েছেন আপনজনদেরও। এখন তার একমাত্র চাওয়া হচ্ছে এই সৃষ্টি কর্মকে বিশ্বের ৪০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষসহ সকলের কাছে ছড়িয়ে দেয়া।
[৮] ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, বাংলা সাহিত্য এবং বিশ্ব সাহিত্যে এটি বিরল । তিনি গবেষণার মাধ্যমে এর শ্রেষ্ঠত্ব বেরিয়ে আসবে বলে মনের করেন ।
আপনার মতামত লিখুন :