শিরোনাম
◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০২১, ০৬:১৪ সকাল
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০২১, ০৬:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] হোসেনপুরে মরিচের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে খুশি

আশরাফ আহমেদ: [২] এবার কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। হোসেনপুরে কৃষকের খেত আর আঙিনাজুড়ে এখন শুধু মরিচ আর মরিচ। অন্যান্য ফসলের তুলনায় মরিচের কিছুটা ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটিহারী গ্রামের চাষি শওকত আলী হিরা বলেন, বন্যায় ফসলের ক্ষেত খাইয়া ফেলছিন। বাজারে মরিচের দাম বেশি । এর লাইগ্যা এক একর খেতে মরিচ করছি। আল্লাহ দিলে খেতে অনেক মরিচ হইছে।

[৩] মরিচের ভালোই দাম পাচ্চি। শুকনা মরিচ আট হাজার টেকা মণ দরে বেচিচ্চি। তবে খেতত থ্যাকে কাঁচা মরিচের ও দাম বেশি। একই ধরনের কথা বলেন সাহেবের চর গ্রামের কৃষক লোকমান হোসেনসহ কয়েকজন। উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গুণগতমানের জন্য হোসেনপুরের মরিচ সারা দেশে বিখ্যাত।

[৪] এই মরিচ উৎপাদন হয় উপজেলার চর জিনারি, চর হাজিপুর,, চর কাটিহারি, সাহেবের চর, চর বিশ্বনাথপুর,চর জামাইলসহ বিভিন্ন স্থানে। উপজেলায় জেলায় এবার ২শত হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের খেত, বাড়ির উঠান আর আঙিনা এখন কাঁচা পাকা মরিচে উপচে পড়ছে।

[৫] চলছে মরিচ শুকানোর ধুম। কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে কাঁচা অবস্থায় ৩০ মণ করে মরিচের ফলন হচ্ছে। শুকানোর পর বিঘাপ্রতি ফলন টিকবে১০ থেকে ১২ মণ। খেত থেকে তুলেই প্রতি মণ মরিচ ১হাজার ৭শত টাকা দরে বিক্রি করে বিঘাপ্রতি কৃষক পাচ্ছেন ২০হাজার টাকা। অন্যদিকে ১২ মণ শুকনা মরিচ বিক্রি করে পাচ্ছেন ৯৬হাজার টাকা। অবশ্য এক বিঘা জমির মরিচ শুকাতে মজুরি বাবদ সাত-আট হাজার টাকা খরচ হয়।

[৬] কৃষকেরা জানান, এবার খেত থেকে উঠানো পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে গড়ে ২৫-২৬ হাজার টাকা। এক মণ মরিচ খেত থেকে তোলার জন্য শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা। হাটে নিতে পরিবহন বাবদ আরেক দফা খরচ হচ্ছে।

[৭] সেই হিসাবে খেত থেকেই যাঁরা পাকা অথবা কাঁচা মরিচ বিক্রি করে দিচ্ছেন, তাঁরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইমরুল কায়েস জানান, এবার মরিচের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। এবারও মরিচের ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাচ্ছেন কৃষক। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়