নাদেরা সুলতানা নদী : মানসিক বৈকল্য কম বেশি আমাদের মাঝে থাকে। তবে যতোক্ষণ না তা জনসমক্ষে আসে ততোক্ষণ পর্যন্ত বলবো ‘ইটস ওকে’। না পাওয়া আমাদের হীনমন্য করে, মনের উদারতা কেড়ে নিয়ে ভাব প্রকাশকে সংকুচিত করে এবং হিংসুটে করে দেয়। এ আমার ধারণা (যে কারণে এক দল মানুষ বসে বসে ‘জয়া আহসানের’ ছবিতে হাহা রিয়েক্ট দিতে বসে থাকে)।
ভূমিকা শেষ, কেন বলছি বলি, আমি যে কাজ করি তার মাঝে একটি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টসদের জন্যে কিছু সার্ভিস নিয়ে। স্বাভাবিকভাবে ক্লায়েন্টদের ভালো ফিডব্যাক পেলে আমরা তা প্রমোশানাল (উইথ পারমিশন) প্রচারণায় নেই। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্থান, আফ্রিকান বেশ কিছু দেশ এবং অন্য অনেক দেশের ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া আমরা পাই। আমরা শেয়ার করি। অন্য কোনো দেশের কোনো নেগিটিভ প্রতিক্রিয়া কখনও দেখিনি।
আমাদের সার্ভিস নিয়েছে এমন একজন বাংলাদেশি স্টুডেন্ট আমাদের জন্যে একটা ছোট ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছে। সেটি অনেকগুলো ফেসবুক পেজে শেয়ার হয়েছে। কোনো নেগেটিভ ফিডব্যাক কেউ দেয়নি। অনেক ন্যাশনালিটি দেখছে। শুধু অস্ট্রেলিয়া থাকা দুই একটি বাংলাদেশিদের পেজে এসে এমন একটি ভিডিওতেও বাংলাদেশি কিছু ভাই এসে ‘অট্টহাসি’ দিয়ে যাচ্ছেন এবং ভিডিওটির ভূয়সী সমালোচনা করছেন। প্রসঙ্গটি নিয়ে বলছি, কারণ এরকম এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রজাতি সকল জায়গায় ছড়িয়ে আজ। তাদের জগতের সকল কিছুতেই হাসি পায়। (বড় আমুদে তারা, বড় বেশি)। এই কি কোনো হতাশা? না তারা জীবনে সব পেয়েছে এবং পারফেক্ট ইন এভ্রি আস্পেক্ট। জানি না, তবে খামোকা এমন নেগেটিভিটি ছড়ানো মানুষ থেকে সবাই মুক্তি পাক, কোনটার সমালোচনা করা উচিৎ কোনটা না, মানুষেরা শিখুক, মানবিক হোক, সহানুভূতিশীল হোক। মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :