দীপু তৌহিদুল : দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় ঢাকার রাস্তা ঘাটে শিশু, কিশোর তরুণদের দেখা মেলে না। বাস্তবতা আসলে কি? বাস্তবতা হচ্ছে তারা সবাই ঘুরে ফিরে মজা করে। বিশ্বাস না করলে ঢাকার শপিং কমপ্লেক্সগুলির ফুড কোর্ট আর এলাকা এলাকায় রাস্তার মোড়গুলো নজর বুলিয়ে নিলেই হয়। করোনার কারণে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার কোনো সুফল নজর অসেনি। যারা মনে করছেন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকাটা ঠিক হচ্ছে তারা ভুল করছেন, কারণ বাংলাদেশের মতোন ঘন বসতির রাষ্ট্রে স্বাস্থ্যবিধির প্রয়োগ সফল হয়নি। এমনকি সব সরকারি সংস্থাই স্বাস্থ্যবিধির প্রয়োগ করাতে ফেল করেছে। করোনারে শুরু থেকেই ক্ষমতায় আসীন সরকারের বড় বড় নেতাদের বড় বড় লেকচারগুলো নাগরিকদের ঢিলেমি মেজাজে থাকতে সাহায্য করেছে। একবার পেস্ট বের হয়ে গেলে ওটাকে আর টিউবে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না, এটাই সত্যি। করোনায় বাংলাদেশ প্রথম থেকেই শো অফে ছিল, কার্যত পুলিশ প্রশাসন আর স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়া কেউই কোন কাজ দেখাতে পারেনি। যাই হোক এখন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর বন্ধ না রেখে দ্রুত খুলে দেওয়াই উচিত কাজ হতে পারে।
এটা চলমান থাকলে ছেলে মেয়েরা উল্টো বরবাদির দিকে ধাবিত হবে। পাশাপাশি বিনা পরীক্ষায় এসএসসি ও এইচএসসির ধাপ পার করিয়ে দেবার সিদ্ধান্তটাকে খুব বড় ভুল মনে করছি। এতে করে সামনে গবেট ক্যাটাগরির প্রজন্মের সঙ্গে জাতির মোলাকাত হয়ে যাবে। মেধাবীদের প্রতি ঘটবে চরম অবমূল্যায়ন। ক্ষমতাসীনদের এই সিদ্ধান্তটাতে কলাগাছ টাইপের মন্দ মেধার ছেলে মেয়েদের পিতামাতারা ভীষণ খুশি হয়ে বগল বাজাবে। অথচ চাইলেই বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব কিছু ছিল না। অন লাইনে ক্লাস করাতে পারবেন, আর অন লাইনে পরীক্ষা নিতে পারবেন না? এইটা কি কৌতুক? দেশের সবাই ছাগল গোত্রের নয় এটা মনে রাখা উচিত সকল রাজনৈতিক দলের। মেধাশুন্য জাতির চাহিদা কিসের জন্য সেটাই বুঝতে হবে, আপনি কোন দলের সমর্থক সেইটা কোনো ম্যাটার করে না, ম্যাটার করে আপনার মেধাবী বাচ্চাটার উপর অন্যায় অবিচার যাতে না ঘটে। দলের ছাতা ছেড়ে দিয়ে ভাবতে শিখুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :