সনত চক্রবত্তী : [২] পৃথিবিতে কেউ দারিদ্র্যতা নিয়ে জন্ম গ্রহন করে না। তবু নিয়তি কাকে কোথায় নিয়ে যায় কেউ বলতে পারে না। তবু বেঁচে থাকার আশায় মানুষ বিভিন্ন কর্ম করে, মাথা গোঁজার ঠাঁই খোঁজে। কিন্তু সব আশা পুরণ হয় না।
[৩] তেমনি এক দম্পতির সন্ধান মিলেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর এক পাবলিক টয়লেটে।
[৪] জেলার বোয়ালমারী উপজেলার (সদর বাজার) টিনপট্টি এলাকায় গনশৌচাগারে দিন যাপন করছে শাহাদাত (৫০)ও তার স্ত্রী নারগিস বেগম (৪৫)।
[৫] শাহাদত বলেন, আমার বাড়ি মোহাম্মদপুর উপজেলায় ছিল। জন্মের সময় মাকে এবং ৬ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে আজ বোয়ালমারীতে। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন পৈতিক সম্পত্তি বলে কিছু ছিল না, দারিদ্র্যতার কষাঘাতে এবং জীবিকার তাগিদে বোয়ালমারীতে চলে আসি। সেই সময় থেকে টুকায়ে বা কাগজ কুড়িয়ে জীবন চালিয়ে নিচ্ছি। এই ভাবে জীবনের অনেক বছর পার করি, তারপর জীবন সঙ্গী হিসাবে স্ত্রী নারগিসকে পাই।
[৬] তবু নিয়তির পরিবর্তন করতে পারি নাই, এর মাঝে বোয়ালমারীর পৌরসভার মেয়র মোজাফফর হোসেন বাবলু মিয়ার সাথে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে মাস্টার রোলে দৈনিক ১৬০টাকা বেতনে বাজার ঝাড়ুদারের চাকরি দেন এবং বোয়ালমারী হেলিপোর্টে সরকারি জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যদের থাকার জন্য আমার ও আমার স্ত্রীর আজ বোয়ালমারি পাবলিক টয়লেটে থাকার স্থান হয়েছে।
[৭] দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ করার পর মানুষের বাড়িতে কাজ করে যা পাই তাই খাই, আবার কিনেও খাবার খাই। যদি সরকারি বা বেসরকারি কোনও সংগঠন আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে শেষ বয়সে মরেও শান্তি পাবো।
আপনার মতামত লিখুন :