শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৫০ সকাল
আপডেট : ২১ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সীমান্ত অপরাধসহ চোরাচালান কমানো সম্ভব হয়েছে: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মনিরুল ইসলাম: [২] সীমান্ত অপরাধসহ চোরাচালান আশাতীতভাবে কমানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা, আহত ও আটকের বিষয়ে প্রতিনিয়ত বিজিবি ও বিএসএফ’র বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকে সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলােচনা ও সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তাই সীমান্তে এখন শান্তি বিরাজ করছে।

[৩] বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।

[৪] বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙার প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকার জনগণের মধ্যে এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে আস্থা বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক। টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি অবৈধভাবে যাতে কেউ শূণ্য লাইন অতিক্রম না করতে পারে সে ব্যাপারে সীমান্তবর্তী এলাকায় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসরত জনসাধারণের মাঝে বিজিবি কর্তৃক নিয়মিতভাবে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

[৫] একই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, সীমান্তে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বন্ধের বিষয়ে বিজিবি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সরকার এ ব্যাপারে কুটনৈতিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

[৬] তিনি আরও জানান, গত ২২-২৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে ভারতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্ত হত্যাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে বিএসএফ একমত পোষণ করেছে। সীমান্ত হত্যাসহ অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ শুন্যের কোটায় আনার নিমিত্তে গত পহেলা জানুয়ারি হতে বিজিবি-বিএসএফ রাত্রিকালীন যৌথ টহল পরিচালনা করছে। এছাড়াও সীমান্ত এলাকা নজরদারিতে রাখার জন্য বিজিবি ইউনিটগুলো সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করছে। ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকা চিহ্নিত করে সে সকল স্থান গুলো সমন্বিত টহল কার্যক্রমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। এক বিওপি থেকে পার্শ্ববর্তী বিওপির মধ্যবর্তী দুরুত্ব কমানো জন্য ১২৮টি বর্ডার সেন্ট্রি পোষ্ট (বিএসপি) নির্মাণ করা হয়েছে।

[৭] স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে যশোরের পুটখালি সীমান্তে ১৩ কিলোমিটার, সাতক্ষীরা জেলার মাদরা সীমান্তে ১১ কিলোমিটার, দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তে ১৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তে ১০ কিলোমিটার, সর্বমোট ৪৯ কিলোমিটার এলাকায় সার্ভিলেন্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও টেকনাফ-২ (কক্সবাজার) সীমান্তে ৫৫ কিলোমিটার, নওগাঁ জেলার হাপানিয়া-করমডাংগা সীমান্তে ১০ কিলোমিটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-জহরটেক সীমান্তে পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার, সর্বমোট ৮০ কিলোমিটার এলাকায় বর্ডার সার্ভেইল্যান্স এন্ড রেন্সপন্স সিস্টেম স্থাপনের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। অবশিষ্ট ১৯৯ কিলোমিটার এলাকায় বর্ডার সার্ভেইল্যান্স এন্ড রেন্সপন্স সিস্টেম স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। সীমান্তে টহল তৎপরতা মাধ্যমে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য বিওপিতে মোটর সাইকেল এবং অল ট্রেইন ভেহিক্যাল বরাদ্দ করা হয়েছে। যশোর সীমান্তে বিজিবি এবং বিএসএফ’র ২টি বিওপির (দৌলতপুর ও কল্যানী) দায়িত্বপূর্ণ ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকাকে অপরাধ মুক্ত এলাকা হিসেবে ষোষণা দেওয়া হয়েছে। উক্ত এলাকাকে অপরাধ মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় ওই এলাকার সীমান্ত অপরাধসহ চোরাচালান আশাতীতভাবে কমানো সম্ভব হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়