শিমুল মাহমুদ: [২] হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চালানটি গ্রহণ করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সঙ্গে থাকবেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ও পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা। এরপর রাষ্ট্রিয় অতিথি ভবন পদ্মায় আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর শেষে টিকা রাখা হবে তেজগাঁওয়ে ইপিআইয়ের স্টোরেজে।
[৩] ২৬ বা ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকাদান উদ্বোধন করা হবে, প্রথম দিন ভ্যাকসিন পাবেন ২৫ বিশিষ্ট নাগরিক।
[৪] বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন; শুরুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দিয়ে সাত দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। অন্য জেলাগুলোতে টিকাদান শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি।
[৫] সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে,যদি দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া যায়, তাহলে সে দেশে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে। সে অনুযায়ী আমরা ৫ কোটি ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেবো। এরপরও যদি প্রয়োজন হয়, টিকা আমদানি করা হবে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী, আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যে আমাদের দেশেই ভ্যাকসিন তৈরি হবে এবং এটা অ্যাভেইলেবেল হয়ে যাবে।
[৬] গণটিকাদানের জন্য অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন শুরু হবে ২৬ জানুয়ারি। প্রথম ডোজের আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ। প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ অর্থাৎ দেড় কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :