মাসুদ আলম : [২] গত গত ১৩ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকের ৫/এ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সাদমান সাকিব রাফি। সঙ্গে নিয়ে যান তার ল্যাবটপ ও মোবাইল ফোন সেট। বাসা থেকে বের হয়েই রাফি তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন। নিখোঁজ রাফি মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির (এপিইউ) ত্রিপল ই বিভাগের ছাত্র। গত ১৯ সেপ্টেম্বর লকডাউনের মধ্যে তিনি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় সেমিস্টার শেষ করার পর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ত্রিপল ই বিভাগের প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি হন। নিখোঁজের ঘটনায় তার মা মনোয়ারা হোসেন ভাটারা থানায় একটি জিডি করেন।
[৩] রাফি নিখোঁজের ঘটনায় পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তদন্ত করছে। রাফির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও ফেসবুক যাচাই বাছাই করে। বাসায় রাফির ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো তল্লাশি করে গোয়েন্দা সংস্থা।
[৪] রাফির মা মনোয়ারা হোসেন বলেন, রাফি ওপিডি’তে (অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার) আক্রান্ত। মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার পর এ্যাপলো হসপিটালে মনোবিজ্ঞানী নিগার সুলতানার অধীনে চিকিৎসা চলছিল। রাফির বড় বোন চিকিৎসক। রাফির ছোট ভাই তার চেয়ে এক বছরের ছোট। এই দুই ভাই সৌদি আরবে জন্ম গ্রহণ করেছে। লকডাউনে মালয়েশিয়া থেকে ফেরার পর সে বাসায় থাকত তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে। বাসায় শুধু মুভি দেখত। ঢাকায় তার কোনো বন্ধুও নেই। বন্ধদের সবাই কানাডা, ইউকে ও আমেরিকায় পড়াশুনা করে। মাললেশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ত্রিপল ই বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মাসে টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল। এখন তার সকল ক্লাশ অনলাইনে চলছে। কিন্তু বাসায় একেবারে চুপচাপ, কারো সঙ্গে আড্ডা দেয় না এমনকি জঙ্গি বিষয়ে তার মধ্যে প্রচন্ড ঘৃণাবোধ কাজ করে। কি কারণে সে বাসা থেকে চলে গিয়েছে- এ বিষয়ে তিনি কোনো সন্দেহ করছেন না।
[৫] ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় ১৩ জানুয়ারি সকাল ৯ টা ২২ মিনিটে তিনি হাতে ল্যাবটপ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান রাফি। তার মধ্যে কোনো হতাশা কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া বিষয়টি সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে কি না- সে বিষয়ে তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও ফেসবুক আইডি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :