শাহীন খন্দকার: [২] মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ-ব্লকের সম্মেলন কক্ষে ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং কর্মসূচি প্রকল্পের উদ্যোগে (১৯-২৫ জানুয়ারি) এর উদ্বোধন করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর।
[৩] প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. আলী নূর বলেন, বাংলাদেশে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সারের মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার শক্তি নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, নারীদের জন্য একটি ভয়াবহ ব্যাধি এবং জরায়ুমুখও স্তন ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুও একটি কারণ। এই ক্যান্সার প্রতিরোধ বড় ধরণের চ্যালেঞ্জিং বিষয় হলেও অসাধ্য নয়।
[৪] সমন্বিতভাবে এই রোগ দু’টি মোকাবেলা করতে হবে। কিশোরীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের।
[৫] সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, জরায়ু-মুখ ক্যান্সার বিশ্ব জুড়ে মহিলাদের ক্যান্সারের মধ্যে চতুর্থতম এবং ক্যান্সারজনিত কারণে মৃত্যুর চতুর্থতম শীর্ষ কারণ। বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে জরায়ু-মুখের ক্যান্সারের স্থান দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
[৬] বাংলাদেশে ২০১৮ সালে নতুনভাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৬৮ জন এবংএকই বছরে ৫ হাজার ২ শত ১৪ জন মহিলা মারা গিয়েছিলেন।
[৭] তিনি আরও বলেন,এদেশে মহিলাদের যত ক্যান্সার হয় তার ১২ শতাংশ হলো জরায়ু-মুখ ক্যান্সার। বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুনভাবে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় ১২ হাজার ৭ শত ৬৪ জন এবং যাদের মধ্যে মারা যায় ৬ হাজার ৮ শত ৪৬ জন।
[৮] উপচার্য বলেন, জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার আগেভাগে নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক রোগীই দীর্ঘায়ু লাভ ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :