হারুন-অর-রশীদ: [২] শীতের ঘন কুঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে ফরিদপুর। ঘন কুঁয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া ঘন কুঁয়াশা মঙ্গলবার একই ভাবে রয়েছে ; ফলে সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
[৩] এরসাথে হিমশীতল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বৃদ্ধির পাঁশাপাশি শ্রমজীবীদেরও পড়তে হচ্ছে বিপাকে। প্রশাসন বলছে, শীত মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
[৪] জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবিরাও।
[৫] ফরিদপুরের সালথা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশায় জনজীবন জবুথবু অবস্থা। বিশেষ করে, শ্রমজীবী ও বৃদ্ধরা এর তীব্রতা বেশি পোহাচ্ছ।
[৬] আবু নাসের নামের এক সংবাদকর্মী বলেন, ফরিদপুর কৃষি প্রধান এলাকা। হঠাৎ এত ঘন কুয়াশায় এ এলাকার শীতকালীন মৌসুমি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগের দিনগুলোতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কিছুটা কেটে গেলেও কয়েকদিন ধরে কুঁয়াশা কমছেনা।
[৭] এদিকে, শীতকে উপেক্ষা করে পেটের দায়ে জেলা শহরের কয়েকটি এলাকায় শ্রমজীবী মানুষেরা অপেক্ষা করলেও অধিকাংশ লোকজন কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। আর শীতের কবলে পড়ে ফুটপাতে ছুটোছুটি করা ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট যেন সীমাহীন। অনেকে সড়কের পাঁশে এবং সন্ধ্যার পর গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় প্রকৃত দরিদ্র মানুষের মাঝে সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন সামাজিক সংগঠনগুলোর নেতারা।
[৮] জেলা প্রশাসন বলছে, শীত মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাওয়া কম্বল হতদরিদ্রদের মাঝে বণ্টনের জন্য জেলার সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :