শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারী, ২০২১, ০৫:২৭ সকাল
আপডেট : ১৯ জানুয়ারী, ২০২১, ০৫:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হঠাৎ খিঁচুনি শুরু হলে আতঙ্কিত হবেন না

ডেস্ক রিপোর্ট: মৃগীরোগ একটি স্নায়বিক রোগ। এ জন্য মস্তিষ্কের অতিসংবেদনশীলতা দায়ী। কারও মধ্যে বারবার খিঁচুনির উপসর্গ দেখা দিলে তার মৃগীরোগ হয়েছে বলা যায়। এ ছাড়া মস্তিষ্কের টিউমার, রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক), মাথায় আঘাত ও রক্তপাত, রক্তনালিতে সমস্যা, সংক্রমণ, মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, মানসিক সমস্যা, স্মৃতিভ্রম বা আলঝেইমার্স, নেশাজাতীয় ওষুধ সেবন, শরীরের লবণ, ভিটামিন বা খনিজ পদার্থ কমে যাওয়া এবং ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের শর্করার অতি বেশি বা কমের কারণেও কারো খিঁচুনি হতে পারে।

একজন মৃগীরোগীর হঠাৎ মারাত্মক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন শরীর শক্ত বা টান টান হয়ে হঠাৎ অচেতন অবস্থা, শিথিল হয়ে ঢলে পড়া, শরীরের কোনো অংশে খিঁচুনি ও পর্যায়ক্রমে সারা শরীরে তা ছড়িয়ে পড়া, হঠাৎ অস্বাভাবিক আচরণ এবং হাত-পা ও মুখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া ইত্যাদি। সাধারণত খিঁচুনি থামার পর দীর্ঘ সময় রোগীর চেতনা থাকে না। খিঁচুনির সময় দাঁতে জিব কাটা বা প্রস্রাব বা মলত্যাগের মতো ঘটনাও হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়া উচিত। একইভাবে মৃগীরোগীর স্বজন বা বন্ধুদেরও জানা উচিত, আক্রান্ত হলে কী করতে হবে।

এ সময় শান্ত থাকুন, অস্থির বা আতঙ্কিত হবেন না। অধিকাংশ খিঁচুনি অল্প সময় পরই থেমে যায়। তাই অপেক্ষা করুন। রোগীর শরীর থেকে বেল্ট, টাই, চশমা ইত্যাদি খুলে দিন, পোশাক ঢিলে করে দিন। রোগী যাতে শক্ত মেঝেতে পড়ে গিয়ে আঘাত না পায়, সেদিকে লক্ষ রাখুন। মাথার নিচে কুশন বা বালিশ দিন। কিছু না পাওয়া গেলে ভাঁজ করা কাপড়চোপড় বা সাহায্যকারীর হাত ব্যবহার করা যায়। রোগীকে আগুন, পানি, যন্ত্র, ধারালো বা শক্ত বস্তু থেকে দূরে রাখুন। খিঁচুনি বন্ধ হওয়ার পর রোগীকে কাত করে দিন, মুখের ফেনা পরিষ্কার করে দিন। রোগীর মুখে চামচ বা অন্য কিছু দেওয়া যাবে না। নাকে চামড়ার জিনিস, জুতা ইত্যাদি ধরলে তাড়াতাড়ি জ্ঞান ফেরে- এটা ভুল ধারণা। রোগীর মাথায় বা চোখে-মুখে পানি দেওয়া বা হাত-পা চেপে ধরারও দরকার নেই। জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত পানি বা অন্য কিছু জোর করে খাওয়াতে যাবেন না।

মনে রাখবেন, মৃগীরোগের সুচিকিৎসা আছে। এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা মোটেও অসম্ভব নয়।

লেখক : অধ্যাপক; ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতাল

চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি.

শ্যামলী শাখা, ঢাকা

০১৮৬৫৪৪৪৩৮৬; ০১৮৪৩৬১৬৬৭০

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়