নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] রোববার রাতে র্স্বণের বারগুলো উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভ টিম। আটক যাত্রী হলেন- গোলাম মোহাম্মদ। তার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে আরও ২টি বার উদ্ধার করা হয়।
[৩] উদ্ধার স্বর্ণের ওজন ১ কেজি ১৬০ গ্রাম। পাশাপাশি তার কাছ থেকে আরও ৬টি স্বর্ণের চুড়ি, দুই গ্রাম ওজনের ১ জোড়া কানের দুল, ৫টি নতুন মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ স্বর্ণ ও পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
[৪] কাস্টমস কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণ থাকার বিষয়ে অস্বীকার করেন তিনি। মেটাল ডিটেক্টরে তার শরীরে ধাতব বস্তু থাকার প্রমাণ পাওয়ার পর পেটে এক্সরে করে স্বর্ণবার থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয় কাস্টমস।
[৫] প্রিভেন্টিভ টিমের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নাঈম ইসলাম জানান, আটক যাত্রী রাত ১১টায় দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারওয়েজের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ইমিগ্রেশন শেষে লাগেজ নেওয়ার পর গ্রীন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
[৬] কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, ওই যাত্রী প্লেনের ১৮-ই নম্বর সিটে ছিলেন। গোপনে পাওয়া তথ্যে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি অস্বীকার করে বলেন, কিছুই নেই। পরে যাত্রীকে আর্চওয়ে গেটে নেওয়া হলে ধাতব জাতীয় পদার্থ থাকায় অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এরপর বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে যাত্রীকে তল্লাশি ও এক্স-রে করে রেক্টামে স্বর্ণবার থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে যাত্রী স্বেচ্ছায় টয়লেটে গিয়ে তার রেক্টাম থেকে স্বর্ণবারগুলো বের করে দেন।
[৭] আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে ১৯৬৯ সালের দ্য কাস্টমস অ্যাক্টে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। সম্পাদনা: ফরহাদ বিন নূর
আপনার মতামত লিখুন :