এস, এম রিয়াজ: [২] উপজেলার হেতালিয়া গ্রামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের একদিন পরে রোববার রাতে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার সকালে মামা বাড়ী থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী (জান্নাতী নাহার) কে কৌশলে অপহরণ করা হয়।
[৩] এ ঘটনায় রোববার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ ওই রাতেই মাদ্রাসা ছাত্রী জান্নাতী নাহারকে উদ্ধার করে এবং এ মামলার প্রধান অসামী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে। ইমরান খাঁন এর বাড়ী পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে।
[৪] অপহৃত ছাত্রীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মো. ইমরান খাঁন (২৫) নামের একটি ফিসিং ট্রলারের কর্মচারী প্রায়শ ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাড়ীর কাছের খালে ট্রলারটি নোঙর করে মেয়েটিকে উত্যক্ত করত এবং কু প্রস্তাব দিত। শনিবার সকাল দশটার সময় মেয়েটি তার মামা বাড়ী থেকে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় আফজাল হাওলাদারের বাড়ি সংলগ্ন পাকা সড়কে ওঠামাত্র মো. ইমরান খাঁন তার বোনের জামাই মো. রাজিব হাওলাদারের সহায়তায় মেয়েটি একটি মোটর সাইকেলে জোড় পূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
[৫] ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মো. ইমরান খাঁন ও তার ভগ্নিপতি মো. রাজিব হাওলাদারের নামে রোববার রাতে মামলা করেছেন এবং রাতেই অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় এবং এ মামলা প্রধান আমাসী ইমরান খাঁন কে ইন্দুরকানী থানা পুলিশে সহয়তায গ্রেপ্তার করে গতকাল সোমবার পিরোজপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :