রাশিদ রিয়াজ : কোভিড লকডাউনে ব্রিটেনে নারীরা প্রেম ও যৌনতাকে আরো প্রাণবন্ত করতে চায় বলেই যৌন উত্তেজক পিল ফিমেল ভায়াগ্রা বিক্রি বেড়েছে। ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলছে লকডাউনে যখন ঘরে কয়েক মাস আটকে থাকতে হচ্ছে তখন সঙ্গীকে যাতে বাসি মনে হয় তাই ব্রিটিশ নারীদের অনেকে তাদের জন্যে তৈরি বিশেষ ভায়াগ্রার শরণাপন্ন হচ্ছেন। তাদের অনেকে একঘেঁয়েমি কাটাতে এবং তরতাজা থাকতে এ ধরনের পিল বেছে নিচ্ছেন। ফিমেল ভায়াগ্রা বিক্রেতারা বলছেন লকডাউনে নারীরা পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে শুধু চাঙ্গাভাব বজায় রাখতে চাচ্ছেন তা নয় বরং এরচেয়ে একধাপ বাড়তি স্ফূলিঙ্গ সৃষ্টি করতে চান। এরফলে ব্রিটেনে এধরনের পিলের বিক্রি অন্তত ৪’শ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পিলটির প্রস্তুত কারক এলিসা করিগ্যান এ তথ্য জানিয়ে বলেন ৫টি ভেষজের মিশ্রণে এটি তৈরি করা হয়েছে যা মেজাজ চাঙ্গা ও যৌনশক্তিকে বৃদ্ধি করে। ৩৫ বছর বয়স্ক এই নারী বেয়ার গ্রিলের সারভাইভাল শো ট্রেজার আইল্যান্ডে অংশ নিয়ে তার ওই পিল ‘এলি সেরা’ নিয়ে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন বছর পাঁচেক ধরে চেষ্টার পর এই পিল তৈরি হয়। যেসব নারী তাদের স্বাস্থ্য ও যৌন ক্ষমতা নিয়ে অসুখি তারা এ পিলকে ফলদায়ক বলছেন। ভেষজ হিসেবে পিলে রয়েছে ‘ম্যাকা’, সাইবেরিয়ার জিনসেং, ট্রিবুলাস মিশ্রণ, জিঙ্কো পাতা ও বিটমূল। এলিসা দাবি করেন ব্লু পিল হিসেবে পরিচিত ভায়াগ্রার চেয়ে এলি সেরা অধিক কার্যকর।
মিস করিগ্যান আরো বলেন লকডাউনে অনেক দম্পতিদের করার কিছু নেই এবং তারা যৌনজীবনকে আরো চাঙ্গা করার সময়কে একনিষ্ঠ করে তুলেছে। কেউ কেউ নেটফ্লিক্স দেখতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে কিন্তু তারা একই সঙ্গে তাদের ইচ্ছা, শক্তি ও সমস্ত প্রেরণা হারিয়ে ফেলছে। মানুষের নজর আগের চেয়ে অনেক বেশি কামকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। এলিসা এও বলেন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে অনেক নারী নিজেকে কম আকর্ষণীয় বোধ করছেন। পুরুষদের ভায়াগ্রা রয়েছে- তাই নারীরা এ পিল বেছে নিচ্ছেন। আরেক কারণ হচ্ছে যখন আপনি অধিকতর যৌন আখাঙ্খায় থাকেন তখন আপনার মানসিকতার পুরো পরিবর্তন ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :